প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। নিজের কাজ, ব্যস্ততা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে। তারই চুম্বকাংশ মেলার পাঠকদের জন্য-
কাজ নিয়ে ফের ব্যস্ত আপনি। এটা নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক?
অবশ্যই। তবে শুধু প্রথম লকডাউনের সময়ে কাজ কম ছিল। ২০২০-এর সেপ্টেম্বর থেকে আমি মোটামুটি পর পর কাজ করে গিয়েছি। ছোট পর্দার রিয়েলিটি শো, ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টের অনেক কাজ ছিল।
দীর্ঘ সময় নিজেকে পর্দায় দেখতে না পাওয়া নিয়ে অভিনেতা হিসেবে খারাপ লাগা আছে?
না, বড় পর্দা তো আর কিছুতেই আগের ছন্দে ফিরছে না। যতবার আমরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি, একটা করে ঢেউ এসে সব চেষ্টা ব্যর্থ করছে। অতিমারির মধ্যে আমার দুটি ছবি ‘সুইৎজারল্যান্ড’, ‘ডিকশনারি’ মুক্তি পেয়েছে। সামনেই ‘আবার বছর কুড়ি পরে’র রিলিজ। তাছাড়া ‘মায়াকুমারী’, ‘আগন্তুক’ তৈরি হয়ে আছে।
‘ডিকশনারি’র মুক্তির সময় নিয়ে নাকি আপনার আপত্তি ছিল?
ছবির রিলিজ প্রযোজকের সিদ্ধান্ত, সেখানে আমার কিছু বলার নেই। অতিমারিতে সবাই আমরা খুব চাপের মধ্যে কাজ করছি। একটা জিনিস আমার মনে হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্ল্যান মাফিক কাজ করলেই ভালো। হঠকারিতায় ভালো ফল পাওয়া যাবে না।
আপনি তো সোশ্যাল ওয়ার্কও করেছেন এই সময়টায়।
যতটা পেরেছি, চেষ্টা করেছি। লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকলেও, সে পর্যায়টাই বুঝিয়ে দিয়েছিল এখন নিজের কাজ নিয়ে আক্ষেপ করার সময় নয়। ঝড় সামলানো বেশি জরুরি। গত দুই বছরে আমরা প্রত্যেকে কাছের মানুষ, বন্ধু… কাউকে না কাউকে হারিয়েছি। এখন যেমন কাজ করতে গেলে টেনশন হয়। ফের যদি আক্রান্ত হই? বাড়ির লোকের কথাও ভাবতে হয়।
অতিমারি কি কিছু সুবিধাও দিল?
আত্মবিশ্লেষণের জন্য বেশ কিছুটা সময় পাওয়া গিয়েছে। আরো একটা জিনিস বুঝলাম যে, কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। জীবনে আসলে কোন জিনিসগুলোর মূল্য আছে, সেটাও বুঝতে পারলাম। তার পর অনেক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে রিইউনিয়ন হলো। নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে। ভিডিও কলে সেই পুরনো মুখগুলো দেখতে পেয়েছি। শ্রীমন্তর (পরিচালক) ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ ছবিটা করার সময়ে যেমন বুঝতে পারলাম, বন্ধুত্ব কখনো পুরনো হয় না। আমরাই সেই প্রজন্ম যারা হাতে চিঠি লিখেছি, কার্ড পাঠিয়েছি, মোবাইল ফোনে শর্ট মেসেজ পাঠিয়েছি। তার পর হোয়াটসঅ্যাপ, ভিডিও কল থেকে জুম মিটিং… ছবির গল্পটা শোনার সময়েই আমার দেজা ভু হচ্ছিল।
অতিমারি না হলে হয়তো আপনার মুম্বাইযাত্রা হতো না এবং ওয়েব সিরিজে কাজও করতেন না…
ওয়েব সিরিজের কাজ নিয়ে এই মুহূর্তে কথা বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাজটা শেষ হলে কথা বলতে পারব।
‘অপরাজিত’ প্রসঙ্গে অনীক দত্তর সঙ্গে কথা হলো?
না। উনি আমাকে কিছু বলেননি, আমিও বলিনি। উনি ব্যস্ত মানুষ। একটা ছবির পেছনে কম কাজ তো থাকে না। হয়তো সময় পাননি।
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় আপনি শশীর চরিত্রে। কতটা উত্তেজিত?
ক্লাসিক উপন্যাসের চরিত্রে অভিনয় করার সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই আছে। বাংলা সাহিত্যপ্রেমীরা সবাই ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ পড়েছেন। অনেকের কাছে শশী পছন্দের চরিত্র। কেউ কেউ আবার মেলাতে চান, তাদের কল্পনার মতো হলো কিনা। সুমনদা (মুখোপাধ্যায়) অত্যন্ত দক্ষ একজন পরিচালক। তিনি নিশ্চয়ই নিজের মতো করে ইন্টারপ্রেট করবেন। তার সঙ্গে আগে কাজ করিনি। আশা করি একটা ভালো অভিজ্ঞতা হবে।
আপনি সেই বিরলতমদের মধ্যে একজন, যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন…
আমি সব সময়ে একটাই কথা বলি, আমার রাজনীতি করার মতো ক্ষমতা নেই, যোগ্যতাও নেই। তাই দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
:: মেলা ডেস্ক
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।