প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

কিউকম গ্রাহকদের অর্থ ফেরত শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ই-কমার্স খাতে গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে এ খাতের প্রতিষ্ঠান কিউকমের যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করে পণ্য পাননি তাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফস্টার করপোরেশন লিমিটেডে আটকে থাকা কিউকমের ২০ জন গ্রাহককে ৪০ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপণ কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এবং কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব বলেন, সরকার ভোক্তার অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। ই-কমার্সকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ই-কমার্সের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যেসব ভোক্তা বিভিন্ন ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানে অর্ডার করে অদ্যবধি কোনো মালামাল পাননি অথবা টাকা ফেরত পাননি, তাদের টাকা কীভাবে দ্রুত ফেরত দেয়া যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে ইউনিক বিজিনেস আইডি চালু করা হবে। বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মে পণ্য কিনে যারা পণ্য বুঝে পাননি বা টাকা ফেরত পাননি, তারা টাকা ফেরত পাবেন। যে টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে রয়েছে সেসব টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। যেসব বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার ইতোমধ্যে ই-কমার্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। ই-কমার্সকে একটি আস্থার জায়গায় নিয়ে আসার জন্য সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আটকে থাকা অর্থ ফেরত পেয়ে গ্রাহক শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-কমার্স খাতে আটকে থাকা গ্রাহকদের অর্থ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তাতে অন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা আজ আশান্বিত হবেন।
জানা গেছে, পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে। এ টাকার মধ্যে ক্রেতাদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি ই-কমার্স কোম্পানিটি। ফস্টারের জব্দ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে রয়েছে। এর আগে যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা গত ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দিতে কিউকম ও ফস্টারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ফস্টারের দুটি হিসাব স্থগিত করেছে, যেখানে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, কিউকমের ছয়টি অ্যাকাউন্টে গ্রাহকরা জমা করেছেন ৭৯০ কোটি টাকা। লেনদেন স্থগিত থাকা এসব অ্যাকাউন্টে স্থিতির পরিমাণ দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বাকি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিটি।
অনুষ্ঠানে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এই মুহূর্তটা আমাদের একটা গোল্ডেন মোমেন্ট। যখন আমরা একটা সমস্যার সমাধান করি তখন একটি অনেস্ট উইং দরকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটা করছে। তিনি বলেন, ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ২০ জন গ্রাহকের টাকা ফেরত পাওয়ার মধ্য দিয়ে এ খাতে গ্রাহকদের আস্থার সংকট কেটে যাবে। আমরা মনে করি ভূঁইফোড় কিংবা ডিজঅনেস্টিতে ব্যবসা করে খুব অল্প সংখ্যক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এ করোনাকালের মধ্যেও কাজ করেছেন। তারা সততা নিয়ে ডিজিটাল ব্যবসায় এসেছে, এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়