দুদকের মামলা : অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের আবেদন

আগের সংবাদ

‘কাগুজে’ বিদেশি বিনিয়োগ : সাড়া মেলে নিবন্ধনের এক-তৃতীয়াংশের,হ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুশাসনের অভাব

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে উদ্বেগজনক করোনা সংক্রমণ স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : দেশে করোনা সংক্রমণ গত দুই সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। চট্টগ্রামেও আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। বছরের প্রথমদিনে (১ জানুয়ারি) ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়, আর গতকাল মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ৭৩৮ জনের। সংক্রমণের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। চট্টগ্রামে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা ও অবহেলাকেই দায়ী করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নগরীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি ল্যাবে ৩ হাজার ১১৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। নতুন শনাক্তের মধ্যে ৬৪৭ জন নগরের ও ৯১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে নগর এলাকায় ৭৭ হাজার ৪৩৮ জন এবং উপজেলায় ২৯ হাজার ১৯ জন। এছাড়া সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে ৭২৮ জন নগরীর এবং ৬১০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে ১১টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও চট্টগ্রামের মার্কেট থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও ফুটপাত, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, মার্কেট ও গণপরিবহনসহ সর্বত্রই মানুষকে মাস্কবিহীন অবস্থায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বেশির ভাগেরই মুখে নেই মাস্ক।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত বড়–য়া বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার তথ্য জানার পরও সচেতন নন বেশির ভাগ মানুষ। সচেতন থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। সচেতন না হলে সরকারসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সব ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। ওমিক্রন বা নতুন যে ধরন আসছে এবং যেগুলো সামনে আসবে সেগুলো একজনের হলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবার হয়ে যাবে। মানে এটা হচ্ছে খুবই সংক্রামক। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। না হলে সংক্রমণ হুহু করে বাড়তে থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিধিনিষেধের মধ্যেও মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষ উদাসীন। অথচ ১১ দফা নির্দেশনার মূলই হচ্ছে- মাস্কের ব্যবহার। এছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ, আবাসিক হোটেলে থাকতে করোনা টিকার সনদ প্রদর্শনের নির্দেশনা থাকলেও সে রকম কিছুই মানা হচ্ছে না।
জেলার সাবেক সিভিল সার্জন মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান বাবুল বলেন, দৈনিক শনাক্তের হার বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে। মাস্ক পরার পাশাপাশি আমাদের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ওমিক্রমণ খুব বেশি সংক্রামক। তাই অবশ্যই এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে চট্টগ্রামবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোও এখন পরিহার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়