নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

বরিশাল-পিরোজপুর রুটে বাস মালিকদের দ্ব›েদ্বর অবসান : ৮ দিন পর পরিবহন চলাচল শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : চালককে আটকে মারধরের অভিযোগে ৮ দিন বন্ধ থাকার পর বরিশাল থেকে পিরোজপুর ও খুলনাসহ চার রুটে ফের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশালের রূপাতলী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন। তিনি জানান, গত বুধবার বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান তার কার্যালয়ে পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং বরিশালের মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নকে নিয়ে বসেছিলেন। সেখানেই চলতি সমস্যার সমাধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তবে এ সমস্যার জন্য একপক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছেন। আর দীর্ঘদিনের এ দ্ব›েদ্বর স্থায়ী সমাধান চান যাত্রী সাধারণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি বাস টার্মিনালের অফিসকক্ষে গত ৪ জানুয়ারি পিরোজপুরের বাস ড্রাইভার অরবিন্দ কুমার দাসকে আটকে মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় তার সঙ্গে থাকা ৩৯ হাজার টাকা। এ অভিযোগ তুলে ৫ জানুয়ারি থেকে পাঁচ জেলায় বাস চালানো বন্ধ করে দেয় পিরোজপুর বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে টানা ৮ দিন ধরে পিরোজপুর থেকে ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালগামী বাসের চাকা ঘোরেনি।
বাস বন্ধের কারণ হিসেবে মারধরের বিষয়টি দেখানো হলেও ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বাস মালিকদের বিবাদ আসলে পুরনো। দুই জেলার এ দ্ব›দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৫ সাল থেকে ঝালকাঠি টু বরিশাল এবং বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা রুটে বাস পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি। তবে এ দাবি মানতে রাজি ছিল না বরিশাল বাস মালিক সমিতি। এ নিয়ে প্রায় এক বছর বরিশালের সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রাখে ঝালকাঠি সমিতি। তখন সমর্থক হিসেবে পাশে চেয়েছিল পিরোজপুর বাস মালিক সমিতিকে। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি পিরোজপুর। সেই থেকেই মূলত বরিশাল ও পিরোজপুরের সঙ্গে ঝালকাঠির দ্ব›েদ্বর শুরু। এরপর এই দুই জেলার বাস শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় বহুবার বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হালদার বলেন, গত ৬ বছরে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর বাস স্টাফদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে ৫০টিরও বেশি। এসব দ্ব›েদ্বর জেরে মোট ৮ বার বন্ধ ছিল পিরোজপুর থেকে বরিশাল রুটে বাস চলাচল।
তিনি বলেন, পিরোজপুর থেকে বরিশাল রুটের মাঝখানে ঝালকাঠি। ঝালকাঠির ওপর দিয়েই বরিশাল যেতে হয়। এই সুযোগে ঝালকাঠি বাস মালিকরা নিয়মের বাইরে গিয়েও বাস চালায় এবং রাস্তা থেকে যখন-তখন যাত্রী তোলে। তাতে বাধা দিলেই দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েন তারা।
এ সব বিষয় নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বারবার বসে সমস্যা সমাধান করলেও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন বাবুল হালদার।
এদিকে এসব ঘটনায় পিরোজপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হান্নান শেখ ঝালকাঠির বাস মালিক ও স্টাফদের দায়ী করে বলেন, বরিশাল ও খুলনা রুটে ঝালকাঠির বাস মালিক ও স্টাফরা অনেক সমস্যা তৈরি করে। কিছু বললে বা প্রতিবাদ করলেই চালানো হয় হামলা। এমনকি বরিশালের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধে ঝালকাঠি সীমানায় আটকে দেয় পিরোজপুরের বাসগুলো।
অপরদিকে বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ যাত্রীরা এ দ্ব›েদ্বর স্থায়ী সমাধান চান। তারা বলেন, দুই পক্ষের দ্ব›েদ্বর ফলে প্রতিনিয়তই তাদের হয়রানি বা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়