হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

স্বামী গ্রেপ্তার : যৌতুক-পরকীয়ার বলি স্ত্রী-সন্তান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খাগড়াছড়িতে খালেদা আক্তার পিংকির (২৫) সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই এলাকার মো. সোলেমান হোসেনের (৩৫)। পিংকির বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় সম্প্রতি যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সোলেমান। যৌতুকের টাকা না পেলে আরেকটি বিয়ে করার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোলেমান। এ সম্পর্কে বাধা দেয়ায় নিজের স্ত্রী ও চার মাসের কন্যা-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে সোলেমান। বড় সন্তান বাসায় না থাকায় ভাগ্যক্রমে রক্ষা পায় সে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের ঘটনার হোতা সোলেমানকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত সোমবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে সোলেমান সিআইডিকে জানিয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার সময় শিশু-সন্তান জান্নাত কান্নাকাটি করায় তাকেও গলা কেটে হত্যা করে সে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর বলেন, গ্রেপ্তার সোলেমান গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করত। পরবর্তী সময় ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তাদের ১০ বছরের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫) ও সালমা আক্তার জান্নাত (৪ মাস) নামে দুই কন্যা-সন্তান ছিল।
পিংকির বাবার আর্থিত অবস্থা ভালো হওয়ায় সম্প্রতি সোলেমান হোসেন কাজ না করে মোটা অঙ্কের যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে পিংকিকে। একপর্যায়ে পিংকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোলেমান পার্শ্ববর্তী একজন নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর সোলেমানকে পরকীয়া প্রেম থেকে সরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন পিংকি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধারালো দা দিয়ে প্রথমে পিংকিকে ও পরে চার মাস বয়সি শিশু-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে সোলেমান। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরো বলেন, গলা কেটে হত্যার পর কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় সোলেমান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পিংকির বাবা আবদুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে সোলেমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাবল মার্ডারে সোলেমানের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে সোলেমান একাই জড়িত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়