হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজের অভিযোগ : চারঘাটে অবৈধ পুকুর খননের হিড়িক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাইনুল হক সান্টু, চারঘাট (রাজশাহী) থেকে : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে চারঘাটে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন। পুকুর খননকারী ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা নির্বিঘেœই চলছে পুকুর খননের কাজ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন-রাত চলছে পুকুর খননের কাজ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি পুকুর খননের খবর পাওয়ায় ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধ কর্মকাণ্ড চালালে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। অতি মুনাফালোভী ব্যক্তিদের এমন কর্মকাণ্ডে পরিবেশের ওপর চরম ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
উপজেলার নিমপাড়া, ভায়াল²ীপুর, শলুয়া ও ইউসুফপুর ইউনিয়নে বেশ কিছু জমি লিজ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দল গত কয়েক মাস ধরেই কৃষি জমিতে পুকুর খনন করলেও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়নি পুকুর খনন কাজ। এসব এলাকায় এখন ধানি জমি নেই বললেই চলে। যেটুকু জমি পুকুরের বাইরে আছে সেটুকুও এখন জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে বছরের পর বছর। তবে বর্তমানে ওই সব এলাকায় এখন পুকুর খননের জমি না থাকায় পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে পার্শ্ববর্তী সরদহ ইউনিয়নের সাদীপুর, শলুয়া ইউনিয়নের জাফরপুর ও ইউসুফপুর ইউনিয়নের জয়পুর মাঠে সমতল ধানি জমি কেটে পুকুর খনন করছেন। আর এসব পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির জন্য যে রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে সেসব রাস্তা ভেঙে চুরমার হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাগুলো।
ইউসুফপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রিংকু বলেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে সরকারি অনুমতি প্রয়োজন। তাছাড়া সমতল ধানি জমি এভাবে কেটে পুকুর খনন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলেও একটি সিন্ডিকেট সমতল জমিতে পুকুর খনন করছে। এতে করে পুকুর খননকারীরা লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পরিবেশ ও আশপাশের জমির মালিকরা। তাছাড়া কয়েক বছর আগে বানানো রাস্তাগুলো অধিক ভারের কারণে ভেঙে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা বানালেও কিছু অসাধু ব্যক্তির ব্যক্তি স্বার্থের কাছে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হতে বসেছে। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ফলে দিনের পর দিন এভাবে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জমির শ্রেণি পরির্বতন করে পুকুর খনন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ পুকুর খনন কাজ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়তি রানী কৈরী বলেন, অবৈধ পুকুর খনন কোনোভাবেই কাম্য নয়। তার পরেও যেসব এলাকায় পুকুর খননের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেসব এলাকায় ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে দুজন পুকুর খননকারীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। আমার উপজেলায় কাউকে কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। তারপরেও কোনো তথ্য পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়