জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

সন্ত্রাস দমন-মাদক চোরাচালান রোধে তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও মাদক চোরাচালান রোধে তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই সমঝোতা সই হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের আমন্ত্রণে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লু এসেছিলেন। তার সঙ্গে গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে মিটিং হয়েছে। এখন আমরা দ্বিপক্ষীয় যে আলোচনা সেটা শেষ করলাম। এটা তুরস্কের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক। প্রথমবার আমি তাদের আমন্ত্রণে আঙ্কারায় গিয়েছিলাম ২০১৯ সালে। তার আগেই আসার কথা ছিল, কোভিডের কারণে আসতে পারেননি। এখন তিনি এসেছেন।
সুলাইমান সয়লুর সঙ্গে সে দেশের দুজন প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসেছিলেন বলে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা হয়েছে। আমাদের পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আনসার সব ডিপার্টমেন্টেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন এবং আমাদের কোনো প্রয়োজন থাকলে সেগুলোও তারা দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, আমরা ট্রেনিংয়ের কথা বলেছি, আমরা ইন্টেলিজেন্ট শেয়ারের কথা বলেছি। আমরা সাইবার ক্রাইম দমনের কথা বলেছি। আমরা কথা বলেছি, আমাদের পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, আনসারকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য। তারা সব বিষয়ে একমত হয়েছেন। আনসার ও পুলিশকে তুরস্ক বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং দিয়ে আসছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কন্টিনিউ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সাইন হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল- কাউন্টার টেরোরিজম (সন্ত্রাস দমন), সিকিউরিটি কো-অপারেশন (নিরাপত্তা সহযোগিতা) ও মাদক চোরাচালান রোধ। এগুলো নিয়েই এমওইউ সাইন হয়েছে। এই এমওইউর পর তারা তাদের সহযোগিতা আরো বাড়াবে বলে মন্ত্রী মহোদয় (তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন। এই ছিল আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তারা (তুরস্ক) আগেও যেমন ভূমিকায় ছিলেন, এখনো তেমন শক্ত ভূমিকায় আছেন, আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তো বটেই, যেসব রোহিঙ্গা আছে তারা তাদের সহযোগিতা করে যাবেন। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য হাসপাতাল স্থাপন করেছে, তারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
আমরা বলেছি, তোমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শরণার্থী রেখেছ। রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক, প্রধানমন্ত্রী তাদের থাকার জায়গা দিয়েছেন। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে যা করণীয় তা করবেন। এমনকি তারা কাল ভাসানচরে লোক পাঠিয়ে দেবেন। ভাসানচরে তারা কী করতে পারেন, সেটা অ্যাসেস (মূল্যায়ন) করে সেখানেও তারা সহযোগিতা করবেন। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
গতকাল সকাল ৮টায় বিশেষ বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সুলাইমান সয়লু। কক্সবাজার বিমানবন্দরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে গত বছরের ২২ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া তার্কিশ সরকারি সংস্থা আফাদ পরিচালিত ৫০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের পুনরায় উদ্বোধন করেন। তিনি ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ও তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন পরিচালিত রোহিঙ্গাদের দ্বারা সাবান তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়