জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী : মিনিকেট চাল দিয়ে প্রতারণা করছে মিলাররা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাল ছাঁটাই করে আকর্ষণীয় করে মিল মালিকরা প্রতারণা করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাল পলিশিং করে মিলগুলো চালকে চিকন করে। এতে চাল ছাঁটাই করতে হয়। ফলে অনেক পুষ্টিগুণ চাল থেকে চলে যায়। একটি অগ্রসরমান অর্থনীতিতে এমন প্রতারণা মানা যায় না। এটা আইন করে বন্ধ করা উচিত। কোন জাতের চাল এ বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে মিলগুলো নিজেদের মতো ব্রান্ড দাঁড় করিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
গতকাল শনিবার ‘বায়োফর্টিফায়েড জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধানের বাজার স¤প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কৃষি সচিব ও কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, সঞ্চালনায় ছিলেন বণিক বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিজনেস ইন্টেলিজেন্স-এর প্রধান নির্বাহী শাকিব কোরেশী।
ড. শামসুল আলম বলেন, পুষ্টির ঘাটতি রোধে সরকারের বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুধু চালের মাধ্যমে জিঙ্ক সরবরাহ করা যাবে এমন নয়। তবে যেহেতু দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল সেহেতু চালের মাধ্যমেই জিঙ্ক সরবরাহ করা সহজ। চালের মাধ্যমে এ উপাদানের সরবারহ যথাযথ। আইন করে যেমন লবণে আয়োডিন এবং তেলে ভিটামিন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তেমনি চালের ক্ষেত্রেও আইন করা দরকার। কেউ প্রতারণা করে চালের যেমন ইচ্ছা তেমন রূপ দেবে এমনটি হতে পারে না।
সাবেক কৃষি সচিব ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভুটানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল নিতে চায়। কিন্তু আমরা সেটি দিতে পারছি না। তাই ধানের জাত উদ্ভাবনের পর জনপ্রিয় করতে যে ১৫-১৬ বছর সময় লাগে সেটি কমিয়ে আনতে হবে। আবার ধানের নাম সংখ্যাগতভাবে না দিয়ে অন্য কোনোভাবে দিয়ে জনপ্রিয় করা যায় কিনা সেটি ভাবতে হবে। বিশেষ করে ব্রিধান ৭৪ ও ৮৪ জাত অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ।
এই জাত জিঙ্ক চাল নামে জনপ্রিয় করা যায় কিনা দেখা যেতে পারে। কোনো কৃষক যদি পুষ্টি সমৃদ্ধ ধানের আবাদ করতে চায় তাহলে বিনা জামানতে ঋণ পাবেন। ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত এই ঋণ কৃষকরা পাবেন বলে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের সব ধানের জাতেই কম বেশি জিঙ্ক রয়েছে। তবে ব্রিধান-৭৪ এবং ব্রিধান-৮৪ জাত দুটি জনপ্রিয় করা সম্ভব হলে দেশের মানুষের জিঙ্কের ঘাটতি অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব। এজন্য একটি একশন প্ল্যান ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়