কোভিড-১৯ : যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের ওরাল পিল জরুরি অনুমোদন

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে তো! : বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম শুরু > ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে চলবে সবুজ রংয়ের ৫০ বাস

পরের সংবাদ

সেলুলয়েডে নজরুল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা অবলম্বনে পিয়ার মোহাম্মদ নির্মাণ করেছেন ডকুফিল্ম ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’। এটি প্রযোজনা করেছে নজরুল চর্চা কেন্দ্র ‘বাঁশরী’। ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত একটি প্রবন্ধ। নজরুল সম্পাদিত অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’ ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে। সেই পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনেও নিষিদ্ধ হয়। নজরুলকে জেলে আটক করে রাখার পর তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি লিখিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন চার পৃষ্ঠার বক্তব্য। সেই বক্তব্যই ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ নামে পরিচিত। পরিচালক পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘এই ডকুফিল্মে বেশ কয়েকজন মেধাবী অভিনয় শিল্পী কাজ করেছেন। তাদের বেশিরভাগই থিয়েটার চর্চায় যুক্ত। আমরা চেষ্টা করেছি সবাই মিলে একটা ভালো কাজ করতে। আশা করি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এই ডকুফিল্মটি। নজরুল চর্চা কেন্দ্র ‘বাঁশরী’কে ধন্যবাদ জানাই, তারা এটি প্রযোজনা করার জন্য। বাঁশরী প্রযোজিত এই ডকুফিল্মের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাঁশরীর সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী, লেখক ও চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাঁশরীর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডকুফিল্মটির পরিচালন পিয়ার মোহাম্মদ। ডকুফিল্ম প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, নজরুলের সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভারতের স্বাধীনতার জন্য আকুতি ফুটে উঠেছে। সৃষ্টিকর্তা ছিলেন নীরবে ও নিভৃতে। সেখানে নজরুল বলেছেন, আমার বিচার যখন তোমরা করবে এবং আমার বিপক্ষে যে বিচারক থাকবে তার তো স্বার্থ, লোভ লালসা থাকবে। কিন্তু আমার পক্ষের বিচারক যে সৃষ্টিকর্তা আছেন, তিনি হলেন নিঃস্বার্থ। এইখানে (রাজবন্দির জবানবন্দি) নজরুল সৃষ্টিকর্তাকে নিজের বিচারক হিসেবে ধরেছেন। জাকির হোসেন বলেন, ‘ধূমকেতু যখন নিষিদ্ধ হয় তখন ১১ বছরের বালিকা লিরার লেখাও নিষিদ্ধ করা হয়, কবি নজরুল তখন লিরাকে সাধুবাদ জানান। ধূমকেতু পত্রিকা ছাপার পরে নজরুল বলেছেন, আমি বেআইনি করেছি স্বীকার করেছি। কিন্তু আমি অন্যায় করিনি। নজরুল সব সময় সত্যের পথে ছিলেন। স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য তিনি অনেক গান ও কবিতা রচনা করে উদ্বুদ্ধ করেন।’
:: হেমন্ত প্রাচ্য

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়