কোভিড-১৯ : যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের ওরাল পিল জরুরি অনুমোদন

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে তো! : বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম শুরু > ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে চলবে সবুজ রংয়ের ৫০ বাস

পরের সংবাদ

বড়দিনের বড় আয়োজন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজ ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট আজকের দিনে বেথলেহেম
শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন।
উপহার আদান-প্রদানের পাশাপাশি এদিন খ্রিস্টান পরিবারে বিশেষ কেক তৈরি হয়, থাকে বিশেষ খাবারের আয়োজন।
শোবিজের কয়েকজন খ্রিস্টান তারকাদের পরিকল্পনা তুলে ধরল মেলা
আমেরিকাতে সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়
টনি ডায়েস, অভিনেতা
আমেরিকাতে ক্রিসমাস উৎসব শুরু হয়ে গেছে। এখানে ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে যায়। বাসায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই পিঠা বানানো চলছে। এখন যেহেতু শীতকাল তাই শীতের নানা রকমের পিঠা বানানো হচ্ছে। আমার মা ক্রিসমাসের বিশেষ কেক বানাচ্ছেন। আমি নিজে গিয়ে নারিকেল, খাঁটি গরুর দুধ কিনে নিয়ে এসেছি। বাসায় ক্রিসমাস ট্রি বানানো হয়ে গেছে। আমেরিকায় বড়দিন উপলক্ষে সর্বত্র সাজানো হয়েছে। অনেক আলোকসজ্জা করা হয়েছে। চারিদিকে উৎসবমুখোর হয়ে আছে। এই সময়টা আমার খুব ভালো লাগে। ২৪ তারিখ আমরা এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াতে যাব। ২৫ তারিখে সকালে আমরা পরিবারের সবাই চার্চে যাব প্রার্থনা করতে। সেদিন বিকেলে আমরা ঘুরতে যাব। রাতে ম্যানহাটন শহরে ঘুরব। আমার মেয়ে সবার গিফট দিয়ে দিয়েছে। আমি কার্ডের মধ্যে গিফটের টাকা দিয়ে দেব। দেশে থাকতে আমার বড়দিন এক রকম কাটত, আর আমেরিকাতে আরেক রকম কাটে। আমেরিকাতে সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। এটা ভালো লাগে। ওরা ধর্মের চেয়ে উৎসবে আনন্দ করতে পছন্দ করে। এতে সবার মধ্যে সম্পর্ক ও ব্যবসার উন্নয়ন ঘটে। সবার জন্য বড়দিনের শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমবার আমেরিকায় পালন করছি
কল্যাণ কোরাইয়া, অভিনেতা
প্রথমবারের মতো আমেরিকাতে বড়দিন উদযাপন করছি। আমার শ্বশুরবাড়িতে এবার আমরা বড়দিন উদযাপন করছি। এখানে বড়দিন পালন করলেও আমি আমার মাকে মিস করছি। সঙ্গে দেশের মানুষদেরও মিস করছি। তবে মায়ের জন্য আত্মীয়দের জন্য গিফট পাঠিয়ে দিয়েছি। বড়দিনের দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাব। বিভিন্ন দাওয়াতে যাব। ২৫ তারিখে গির্জায় যাব প্রার্থনা করতে। এখানে সবাইকে সারপ্রাইজ গিফট দেব এবং আমি নিজেও পাব।
সকালে আমরা সবাই একসাথে গির্জায় যাব প্রার্থনা করার জন্য। সব মিলেয়ে বড়দিনের মাস আমার জন্য আনন্দের একমাস। এই মাসের ২৭ তারিখ আমাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। সেটা নিয়েও আমাদের এক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। আর যেহেতু এবার প্রথম আমেরিকাতে বড়দিন পালন করছি অন্যরকম আনন্দ কাজ করছে। এবার গডের কাছে আমার চাওয়া থাকবে এই পৃথিবী থেকে সমস্ত মহামারি চলে যাক।
সবাই এখন আতংকে আছেন। সবাই এই আতংক কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুণ। গডের কাছে এটাই আমার চাওয়া।

রাতে সবাই মিলে ঘুরতে বের হব
পূজা ক্রুজ, মডেল
আমার ক্লাস জিম সবকিছু নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি, তারপরও এই ব্যস্তার ফাঁকে ফাঁকে সবার জন্য নিজেরও জন্য কেনাকাটা করছি। আমার গ্রামের বাড়িতে বড়দিন পালন করতে বেশি ভাল লাগে। ইতোমধ্যে আমরা ক্রিসিমাস ট্রি বানিয়েছি। বড়দিনের বিশেষ কেক বানানো হবে।
২৫ ডিসেম্বর সকালে আমরা পরিবারের সবাই একসাথে গির্জায় যাব প্রার্থনা করতে। সেদিন দাওয়াত খেতে আমাদের আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে যাব। তারাও আমাদের বাসায় দাওয়াত খেতে আসবেন। রাতে সবাই মিলে ঘুরতে বের হব। আমি গিফট পেয়েছি, নিজেও অন্যদেরকে গিফট দিচ্ছি। বড়দিনের এক সপ্তাহ ধরে আমাদের উৎসব চলে। বড়দিনের কিছু দিন পর আমাদের পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। সব মিলিয়ে বড়দিন আমার খুব ভাল কাটবে।
এবার বড়দিনে আমি গডের কাছে চাইব এই পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য করোনা চলে যাক। আর আমার জমে থাকা কাজগুলো যেনো শেষ করতে পারি। খুব খারাপ লাগে সেই ২০ সালের কাজ ২২-এ এসেও শেষ করতে পারিনি। সেগুলো যেনো করতে পারি গডের কাছে আমার এই প্রার্থনা থাকবে।
:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়