হেমন্ত আসি আসি সময়টায় আমি আশৈশব যখন যেখানে থেকেছি, সিজন পালটে যাওয়া এই পাথুরে নগরেও, আমার স্নায়ু যেন কী এক অদ্ভুত শিরশিরে বোধে স্তব্ধ, নিশ্চুপতায় অদ্ভুত অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করেছে আমাকে। যেন বা শিশির, অথবা সফেদ মেঘের কুয়াশা, না হালকা কাঁচা সবুজাভ আঙুলে চিপ্টানো দুধ ধান কুয়াশার নস্টালজিক ঘ্রাণে আত্মায় নিবিড় কড়া নাড়ছে, হেমন্ত কী? আশ্চর্য! ক্যালেন্ডার উল্টে চোখ প্রতিবারই স্তম্ভিত, তাইতো, কার্তিকের পহেলা দিন।
ফাল্গুনে জন্ম আমার বসন্ত কোনো নষ্টালজিক বোধ দেয় না
আমাকে।
হেমন্তের ধ্রæবতারা আমাকে ডাকে।
হেমন্তের বাদুর আমাকে ডাকে।
হেমন্তের আকাশের ডিম আমাকে ডাকে।
সেই ডিমের কুসুম ছড়িয়ে যায় রোদ হয়ে
চরাচরে। কে যেন ডাকে ধানি তেপান্তর জমির ওপার থেকে, কেবল ই, ই, ধ্বনি, এবার কেন জানালায় চোখ পাতা হলো না? স্নায়ু অন্তিম ঘুমে ডুব দিয়ে শীতে মৃত কোষ নাড়ল।
হেমন্ত।
চাঁদে ডুবে যাবে, শিশিরে হারাবে, ভ্রম বোধ দেবে,
কথা ছিল না এমন তো!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।