অঘ্রাণে মন যেতে চায় মাঠে পেতে শিশিরের ছোঁয়া
নীলাকাশ আরো নীল হয়ে ওঠে সে যেনো শিশির ধোঁয়া।
অঘ্রাণে মন হয় উচাটন প্রিয়া দর্শন মাগে
মাঠে পাকা ধান ফিঙের নাচন ভরে মন অনুরাগে।
অঘ্রাণে সুখ আনে নবান্ন কৃষকের ঘরে ঘরে
পিঠা ও পুলির উৎসব এসে কড়া নাড়ে কড়িডোরে;
সুদর্শনেরা চক্কর দিয়ে আকাশের নীলে ওড়ে
প্রিয় অভিমানী খোলে কি গানের গলা নিজস্ব স্বরে?
কার্তিক গেলো অঘ্রাণ যায় দেখা দিক প্রিয়তমা
শরৎ শিশির পায়ে মেখে দিতে কিছুটা রেখেছি জমা।
বৃষ্টির মোহ কাটে শরতের অবগুণ্ঠিত হয় হেমন্ত ঋতু
পিঠা-পুলি আর শীত আবাহনে শিশিরের জল থিতু
আহা হেমন্ত নবান্ন গান খর্জূর গাছে হাঁড়ি
গ্রামবাংলার গোপাটের পাশে জাগিতেছে অনাহারী;
নাতিশীতোষ্ণ হেমন্ত ঋতু তবু জাগে অভিমানে
বর্ষা-শীতের পাল্লায় পড়ে উজানে নৌকা টানে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।