বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

জাতিসংঘে বাংলাদেশ : মানবপাচারের মূল কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মানবপাচারের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার মানবপাচার রোধে জাতিসংঘের বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা মূল্যায়নের ওপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের সভায় বাংলাদেশ এ আহ্বান জানায়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, মানবপাচার প্রতিরোধবিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশনের আওতায় দুদিনব্যাপী উচ্চপর্যায়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানবপাচার প্রতিরোধে বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়। সভায় এবিষয়ক একটি রাজনৈতিক ঘোষণা গৃহীত হয়। মূল আয়োজনের পাশাপাশি বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার, যুক্তরাজ্য ও ইউএনওডিসি একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সভায় বলেন, মানবপাচারের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধান করতে হবে, রোধ করতে হবে। বিশেষ করে জলবায়ুজনিত নাজুক পরিস্থিতি এবং সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির মতো বহুমুখী কারণে সৃষ্ট মানবপাচারের কারণগুলো খুঁজতে হবে। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে শক্তিশালী আইনি কাঠামো, বহু অংশীজনের অংশীদারত্ব ও কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, মানবপাচার একটি গুরুতর অপরাধ- যা মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার মৌলিক নীতিগুলোর পরিপন্থি। মানবপাচার রোধে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত বিভিন্ন আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, শ্রমিক পাচারসহ মানবপাচার ও চোরাচালানের মধ্যে যে যোগসাজশ রয়েছে, তা আমলে নিয়েই আমরা জাতীয় পর্যায়ে মানবপাচারবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি।
বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা স¤প্রদায় মানবপাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। এর মূল কারণ হিসেবে প্রত্যাবাসনের কোনো অগ্রগতি না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন- যা রোহিঙ্গাদের ক্রমাগতভাবে হতাশায় নিমজ্জিত করছে। তিনি শ্রমিক পাচার হ্রাসে শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাত এবং নিজ দেশে ফেরত অভিবাসীদের ওপর কোভিডের ভয়াবহ প্রভাবের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা উপযুক্ত জীবিকার সুযোগ ও রাষ্ট্রসমূহের কোভিড পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়