বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

চমেক ছাত্রলীগ : ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই মারামারি-সংঘর্ষের ঘটে থাকে। সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে চমেক ছাত্রলীগের দুই অংশই। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে যেন দুটি অংশই একই সুরে কথা বলছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একাডেমিক কাউন্সিলের নেয়া বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। এ সময় তারা অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ও ইন্টার্ন হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানের পদত্যাগও দাবি করেছেন। তারা বলেন, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নির্দোষ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আকিবের ওপর হামলাকারীদের সিসিটিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত করা গেলেও অধ্যক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়া বর্তমান একাডেমিক কাউন্সিলের গঠনপ্রণালি অবৈধ এবং কাউন্সিলের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা অনেকেই সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না বলেও দাবি করেছে চমেক ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, চমেক ছাত্রলীগের রাজনীতিকে ধূলিসাৎ করার লক্ষ্যে বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চমেক ছাত্রলীগের সাত নেতা এক বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চমেক ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে সবশেষ ঘটনায় হামলায় জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে- এমন ১৬ জনের মধ্যে মাত্র আটজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২৩ জনের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকার পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের হেনস্তা করতে এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে একাডেমিক কাউন্সিল এ ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাতে ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়