কাগজ প্রতিবেদক : দুবাই, সিঙ্গাপুর ও ভারতে নারী এবং পুরুষদের পাচার করে আসছে চক্রটি। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে পাচার করেছে তারা। বিদেশ যেতে ইচ্ছুক পুরুষদের কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা করে নিলেও নারীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হতো না বরং দেয়া হতো ৩০-৪০ হাজার টাকা। তবে আগ্রহী নারীদের অন্যান্য চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই ড্যান্স ক্লাবে বাধ্য করা হতো অনৈতিক কাজে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াই জাল এমপ্লয়মেন্ট কার্ডও (বিএমইটি) তৈরি করত এ চক্রটি।
পাচারকারী চক্রের অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে গ্রেপ্তারের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন র্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। গতকাল সোমবার বিকালে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এর আগে গতকাল রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শামসুদ্দীনকে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একজন নারী ও ৩ জন পুরুষ ভুক্তভোগীকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
সিও আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এ প্রতারক চক্র মেয়েদের বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করত। আগ্রহীদের কেউ কেউ শেষ সময়ে বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত চক্রটি। টাকা দেয়া সম্ভব না হলে অনেকে বাধ্য হয়েই তাদের কথামতো বিদেশের পথে পাড়ি জমাতো। এ পাচারকারী চক্রের হোতা জিয়া। সেখানে বসেই সব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করত সে। ইমিগ্রেশন শেষ করে শাহজালাল বিমানবন্দর পার হওয়ার পরই ভিডিও কলের মাধ্যমে জিয়ার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়া হয় বিদেশগামীদের। যাতে করে সে নিশ্চিত হতে পারে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে নারী কিংবা পুরুষ বিমানে উঠে দুবাই, সিঙ্গাপুর কিংবা ভারতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।