মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১২৪

আগের সংবাদ

যোগ্যরা নৌকা পাননি যে কারণে : ‘বিদ্রোহী’ তকমায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না জনপ্রিয়রা, আর্থিক কারণেও যোগ্যদের নাম আসছে না কেন্দ্রে

পরের সংবাদ

সিফাত আরা তাবাসসুম : সংবাদ পাঠে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সিফাত আরা তাবাসসুম। ছোটবেলা থেকেই নিউজ উপস্থাপনার দিকে নজর ছিল তার। পাশাপাশি বাবাও স্বপ্ন দেখতেন মেয়ে বড় হয়ে বিটিভিতে ইংলিশ প্রেজেন্টার হবেন। তার পরে স্বপ্নটা আরো বড় আকার ধারণ করে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিভিন্ন টেলিভিশনে আবেদন করা শুরু করেন। ২০১৩ সালে জিটিভি থেকে ডাক আসে তার। সেখানেই যাত্রা শুরু। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জিটিভিতেই। সিফাত আরা তাবাসসুম এখন বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন সংবাদ পাঠিকা, সাংবাদিক ও উপস্থাপক। ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনা করে যাচ্ছেন।
সংবাদকে আরো বেশি শ্রোতা ও দর্শনোপযোগী করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। হতে চান আরো ভালো একজন সংবাদ পাঠিকা। কেন এই পেশায় আসা, কেমন লাগছে সংবাদ উপস্থাপনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
ভোরের কাগজ : কেন সংবাদ উপস্থাপনায় এলেন?
সিফাত আরা তাবাসসুম : দেশ-বিদেশের তথ্য জানার জন্য বাবা সব সময় বলতেন সংবাদ দেখতে। আর সে কারণে নিউজ কখনো মিস করতাম না। আস্তে আস্তে স্বপ্ন দানা বাঁধতে শুরু করে সংবাদ পাঠিকা হওয়ার। বাবাও উৎসাহ দিতেন। সেই থেকেই প্রস্তুতি নেয়া। একপর্যায়ে স্বপ্ন পূরণ হলো।
ভোরের কাগজ : উপস্থাপনায় বাহ্যিক সৌন্দর্য ও স্মার্টনেস কতটা জরুরি?
তাবাসসুম : স্মার্টনেস ও শারীরিক সৌন্দর্য এক কথা নয়। যে কোনো ধরনের উপস্থাপনার জন্য আমরা স্মার্টনেসকে খুব বেশি গুরুত্ব দেই। নিজের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বটাকে ফুটিয়ে তোলা খুব দরকার। তাছাড়া সৌন্দর্য একেক জনের কাছে একেক রকম। যে কেউ সেজেগুজে সুন্দর হতে পারে। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে কিছু না কিছু মেকআপ নিয়ে সবাই আসে। তাই এখানে ভেতরকার সৌন্দর্য প্রকাশ করাটাই জরুরি।
ভোরের কাগজ : সংবাদ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন কতটুকু?
তাবাসসুম : সংবাদ উপস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষণের কোনো দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তারপরও যদি উচ্চারণে সমস্যা থাকে তাহলে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। উচ্চারণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে।
ভোরের কাগজ : সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে নিজেকে আরো দক্ষ করতে চাইলে তাকে কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে?
তাবাসসুম : নিউজ দেখাটাকে নিয়মিত চর্চায় নিতে হবে। কারণ যত বেশি নিউজ পড়া শুনবেন তত শুদ্ধ করে পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে। তবে এক বা দুজনের উপস্থাপনায় নয়, সব চ্যানেলের সবার নিউজ পড়ার ধরন দেখতে ও শুনতে হবে। এর মধ্যে যাকে সবচেয়ে ভালো মনে হবে তার উচ্চারণ, বলার ধরন, কীভাবে সে উপস্থাপন করছে, বলার সময় মুখভঙ্গি, ক্যামেরার দিকে তাকানো, আবেগ প্রকাশ এমন সব কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিয়মিত চর্চায় সেগুলো আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া নিয়মিত সংবাদ পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
ভোরের কাগজ : দেশে যারা সংবাদ উপস্থাপনা করছে তাদের সম্ভাবনা কেমন?
তাবাসসুম : তারা খুবই সম্ভাবনাময়ী। সংবাদ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে চাকরির বাজারটা এখন অনেক বড়। এখন যারা এ পেশায় আসতে চায় তারা এটাকে চাকরি হিসেবে নিতে পারে। বিভিন্ন চ্যানেল এখন লোভনীয় অফার দিচ্ছে। যদি কারো যোগ্যতা থাকে তাহলে এ পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এখন যারা সংবাদ উপস্থাপক তারা শুধু লিখিত সংবাদ পাঠ করছে তা নয়, বরং তারা নিউজ ম্যানেজমেন্ট, অনুষ্ঠান সঞ্চালনাসহ নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারছে।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সিফাত আরা তাবাসসুম। সেখানেও তিনি যোগ দিয়েছেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় বাংলা টিভি চ্যানেল টাইমস টিভি ও টিবিএনের অনুষ্ঠানে। বর্ণনা করেছেন তার অভিজ্ঞতা। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটিতে নিজের অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে চান তাবাসসুম। তিনি বর্তমানে বাংলা টিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছেন।
দেশের সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান সংগঠন নিউজ ব্রডকাস্টার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এনবিএ) এর সদস্য তাবাসসুম। সাবলীল উপস্থাপনা আর সংবাদ পরিবেশনার জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এদের মধ্যে রিহ্যাব বর্ষসেরা সংবাদ পাঠিকা পুরস্কার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেজেন্টার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড অন্যতম। তাবাসসুমের কাছে সংবাদ পাঠ ফ্যাশন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করাটাই তার কাছে চ্যালেঞ্জ। সংবাদ পাঠের চিরায়িত একঘেঁয়ে ব্যাপার থেকে বের করতে চান নতুন একটি ধারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়