যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

ভারতে ৩ কৃষি আইন বাতিল : বছরভর কৃষক বিদ্রোহের জয়, পিছু হটলেন মোদি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের কৃষকরা এক বছরের বেশি সময় ধরে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিলেন তা সফল হতে চলেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে শুরু হওয়া পার্লামেন্ট অধিবেশনেই আইন তিনটি প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মোদি বলেন, আজ আমি আপনাদেরকে, পুরো দেশকে বলতে এসেছি, আমরা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ মাসের শেষদিকে পার্লামেন্টের যে অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে, সেখানে এ কৃষি আইনগুলো প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া বিতর্কিত এ তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতের হাজার হাজার কৃষক মাসের পর মাস দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।
মোদির ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে কৃষকদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ভারতের ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, দেশটির ১৩০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৭০ কোটি মানুষ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত তিনটি আইন পাস হওয়ার পর এর প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষকরা বলেছিলেন, নতুন এ কৃষি সংস্কার আইনগুলো ভারতের নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা ভেঙে দেবে এবং সরকারও ধীরে ধীরে নির্ধারিত মূল্যে গম ও ধান কেনা বন্ধ করে দেবে। এর ফলশ্রæতিতে তাদের ফসল বেচতে বেসরকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে নামতে হবে। আইনগুলো এভাবে জীবন-জীবিকাকে অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ঠেলে দেবে দাবি করে ভারতের কৃষকরা আইনগুলো বাতিল, ফসল কিনতে সরকারের বাধ্যবাধকতা বহালসহ আরো বেশ কিছু দাবি জানিয়েছিলেন।
শুক্রবারের ভাষণে আইনগুলো প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে মোদি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার ক্ষেতে ফিরতেও আবেদন জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আসুন, সব আবার নতুন করে শুরু করা যাক। এখন কাউকে দোষারোপের সময় নয়। শিখ ধর্মীয় নেতা গুরু নানকের জন্মদিনে মোদির কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে অনেক বিশ্লেষকই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন বলে জানায় আনন্দবাজার। তাদের ভাষ্য, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। এদের মধ্যে শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও অনেক। এদিকে আগামী বছরের শুরুতেই পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। অনেকের মতে এ দুই রাজ্যে নির্বাচনে খারাপ ফল ভারতজুড়ে বিজেপির আধিপত্যে ‘চিড় ধরাতে পারে’। যদিও সা¤প্রতিক এক জরিপে উত্তর প্রদেশে আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়