যে কারণে টিকায় ব্যয়ের হিসাব দিতে নারাজ মন্ত্রী

আগের সংবাদ

কঠিন বার্তা দিল আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস নয় > শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় > শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের জন্য অশনি সংকেত

পরের সংবাদ

বজ্রপাতে মৃত্যুরোধ প্রকল্প : ৩০০ কোটি টাকায় হাওরে ৭২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বজ্রপাতে মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় হাওর অঞ্চলে এক হাজার কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এসব শেল্টারে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। খবর বিবিসি।
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশ প্রতি বছর বজ্রপাতে ১৫০-২০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশির ভাগই কৃষক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে বিবিসিকে জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য হাওর অঞ্চলে কংক্রিটের শেল্টার হোম নির্মাণের পাশাপাশি আগাম সতর্কতা দেয়ার জন্য ৭২৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আগাম সতর্কতা কেন্দ্র থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ৪০ মিনিট আগে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হবে, যাতে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারে। এ প্রকল্পের জন্য প্রথমে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। এর সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি অনুমোদন করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমানোর জন্য এর আগেও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, এবার হাওর অঞ্চলে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এক কিলোমিটার পর পর শেল্টার নির্মাণ হলে আগাম সতর্কতা পাওয়ামাত্র মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারবে। কারণ এক কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। সেজন্য ৪০ মিনিট আগেই সতর্ক বার্তা দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বজ্রপাত-নিরোধক যন্ত্র ব্যবহার করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এজন্য যথাযথ ম্যাপিং করতে হবে। শুধু যেখানে সেখানে শেল্টার নির্মাণ করলেই হবে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম আসাদুল হক।
তিনি বলেন, যেসব শেল্টার নির্মাণ করা হবে সেগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে পরবর্তী সময় দেখা যাবে এসব শেল্টার উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হাওর অঞ্চলে। মানুষকে আগাম সতর্কতা দেয়ার জন্য একটি অ্যাপও বানানো হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যকর আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও তিনি মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়