জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

বিএসইসির নির্দেশনায় সূচকের বড় উত্থান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মার্জিন ঋণ প্রদানের সুবিধা বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১১৫ পয়েন্ট। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩১৫ পয়েন্ট।
এছাড়া সূচকের পাশাপাশি গতকাল বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ার দর। সেই সঙ্গে লেনদেনেও রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। দিন শেষে ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
জানা যায়, গতকাল ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭ হাজার ৫৬ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৮৪ দশমিক ৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৬৯১ দশমিক ২৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৯টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে এদিন ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার ১২৯টি শেয়ার ২ লাখ ৪ হাজার ২৩৪ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪২১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। সে হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ৭০ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৩১৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৩৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৫০টির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৫৬৮ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩ হাজার ৮৪৮ টাকা। সেই হিসাবে সিএসইতে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ২০ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার ৭২০ টাকা।
জানা গেছে, ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনতে এখন আর সূচকের ওপর ভরসা করতে হবে না। যেসব কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত সেসব কোম্পানির শেয়ার কিনতে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
গত সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো একটি নির্দেশনা বলা হয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা-১৯৯৬ অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও ৪০ পর্যন্ত থাকবে তাদের শেয়ার মার্জিনযোগ্য হবে। এসব কোম্পানির শেয়ার কিনতে এক টাকার বিপরীতে ৮০ পয়সা ঋণ দেয়া যাবে। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে তিনি আরো ৮০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে পাবেন বিনিয়োগের জন্য।
তবে সেসব কোম্পানির পিই রেশিও অবশ্যই ৪০ মধ্যে হতে হবে। গ্রাহকের বিনিয়োগ করা অর্থ বা শেয়ারের বিপরীতে নতুন শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যে ঋণ সুবিধা দেয়, তাকেই মার্জিন ঋণ বলে। আগে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোতে ১ অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ হারে ঋণ সুবিধা দেয়া হতো। কোনো গ্রাহকের এক লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যাবে। আর সূচক এর উপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ সুবিধা দিতে এখন বিএসইসি সূচক থেকে সরে এসেছে, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পিই রেশিও রহিমা ফুডের ৪ হাজার ২৪৭ পয়েন্ট। এছাড়া ন্যাশনাল টিউবের পিই রেশিও ১ হাজার ৪৬৮ পয়েন্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়