জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ডিসিসিআই সভাপতি : শিল্প ও শিক্ষা খাতে দূরত্ব কমাতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের বিকাশমান অর্থনীতির গতিধারা আরো বেগবান করতে শিল্প ও শিক্ষা খাতের মধ্যকার দূরত্ব কমোনোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং সেলক্ষ্যে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর পাশাাপশি শিল্প খাতের সঙ্গে আইবিএর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যোগাযোগ আরো সুদৃঢ় করার প্রস্তাব করেন। রিজওয়ান বলেন, শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব প্রকট, এমতাবস্থায় শিল্প খাতের প্রয়োজনের নিরিখে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বিদ্যমান পাঠ্যক্রমের আধুনিকায়ন অতীব জরুরি। দেশে শিল্পায়নের প্রসারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরো বেশি হারে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)’র মধ্যকার সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং আইবিএর পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ মোমেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি এসব কথা বলেন। ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালক গোলাম জিলানী, আইবিএর অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহান এবং অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষরিত সহযোগিতা স্মারক অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্প ও শিক্ষা খাতের যৌথ প্রয়াসে প্রতিষ্ঠান দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া ডিসিসিআই এবং আইবিএ যৌথভাবে গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা, মেলাসহ বিভিন্ন বাণিজ্য আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এ স্মারক অনুযায়ী, আইবিএর শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ইনটার্নি সুবিধা দেবে।
অনুষ্ঠানে আইবিএর পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ মোমেন বলেন, গত ৫ দশক ধরে বাংলাদেশে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরিতে আইবিএ নিরলসভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত করছে এবং এখানকার গ্র্যাজুয়েটার অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দেশি-বিদেশি সংস্থায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্রমাগত উন্নয়ন, আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা এবং পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতির কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রমে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে এবং তা মোকাবিলায় উদ্যোক্তাদের অবশ্যই মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং নীতিমালার যুগোপযোগীকরণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন। প্রফেসর মোমেন বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে, যেখানে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তারা আরো বেশি হারে উপকৃত হতে পারেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম আরো বেশি হারে বিনিয়োগের জন্য তিনি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়