কাগজ প্রতিবেদক : অবিলম্বে জ¦ালানি তেলের দাম কমানো এবং বেড়ে যাওয়া বাস, লঞ্চ ও ট্রাকের ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সিপিবির উদ্যোগে গণদাবি দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, ঘুষ-দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, ভোটাধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল, দুঃশাসনের অবসান ও বিকল্প গড়ার দাবিতে সারাদেশে সিপিবির উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘গণদাবি দিবস’ পালিত হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশে নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া জনজীবনকে পদদলিত করে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই জ¦ালানি তেলের দাম এবং বাসের বাড়া বেড়ে যাওয়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার শামিল। মানুষের আয় কমেছে, ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার। সরকার জনগণের দায়-দায়িত্ব না নিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। এ অবস্থায় ষড়যন্ত্রকারীদের সৃষ্ট ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস’ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিচ্ছে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, নিষ্পৃহতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের অসাম্প্রদায়িক মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ঘুষ-দুর্নীতি-লুটপাট যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরিব আরো গরিব হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, জনগণের এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য সিন্দাবাদের ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে বসে থাকা আওয়ামী দুঃশাসনের জগদ্দল পাথর অপসারণ করতে হবে। বিকল্প শক্তির উত্থানের মাধ্যমে বিকল্প গড়ে দুঃশাসনকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মালিক-সরকার আঁতাতের মাধ্যমেই পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে : একই দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ডিজেলের মূল্য বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে মালিক-সরকার আঁতাতের মাধ্যমেই পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখানে জনগণের প্রতি সরকার ও মালিকপক্ষ কারো কোনো দায়বদ্ধতা কাজ করেনি। জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়ানোর জন্য যে নাটক করা হলো তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, জ¦ালানির মূল্য বাড়ায় বিপিসির যেখানে ৩ হাজার কোটি টাকা লোকসান হতো সেখানে ওই লোকসান ঠেকাতে যে মূল্য বাড়ানো হলো তাতে কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ খাত ও জনগণের জীবনযাত্রায় হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে। সরকারের ‘লাভের গুড়, পিঁপড়ায় খেয়ে নেবে।’