ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৬

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে আগুন লেগে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আকবর শাহ থানাধীন কাট্টলীর সাইমুন ভবনের একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, উত্তর কাট্টলী এলাকা থেকে আগুনে দগ্ধ ছয়জনকে রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অগ্নিদগ্ধরা হলেন- মা সাজেদা বেগম (৪৮), ছেলে সানি (২৯), স্বাধীন শেখ (১৭) ও শাহজাহান শেখ জীবন (১৫), মেয়ে মাহি (১০) এবং বড় ছেলের স্ত্রী দিলরুবা (২৪)। দগ্ধদের মধ্যে সাজেদা বেগমের ৮৫ শতাংশ, স্বাধীনের ৪২ শতাংশ, জীবনের ৪০ শতাংশ, মাহিয়ার ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে সাজেদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চমেক বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, রাতে ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এরপর অগ্নিদগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
বাসিন্দা আগুনে পুড়ে আহত হওয়া সন্তানদের বাবা জামাল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যখন রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় আসি তখন পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিনই বলেন- আব্বা গ্যাসের গন্ধ আসে। আমি বিষয়টি ভবন মালিককে জানালেও তারা কোনো কিছু হবে না বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। আমার ছেলেরাও ভবন মালিককে বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা তাতে কোনো পাত্তাই দেননি। অথচ একটু ব্যবস্থা নিলে আমার পরিবারের এই ক্ষতিটা হতো না।’
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে আগুনে সবাই দগ্ধ হয়েছেন। এরপরও আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় পরিবারের কোনো এক সদস্য ঘুমানোর আগে মশা মারার জন্য ইলেকট্রিক ব্যাট হাতে নেন। প্রথম মশা মারার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাট স্পার্ক করে উঠলে বাসার গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়