ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী : কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে টেলিভিশনের দর্শক, মালিক, কেবল অপারেটরসহ সবাই উপকৃত হবেন। সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বে ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ সব আদি জেলা শহরে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এটকো এবং কেবল ডিস্ট্রিবিউটর ও অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব মকবুল হোসেন, এটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহসভাপতি আরিফ হোসেন, সদস্য আব্দুস সামাদ বাবু, আহমেদ জোবায়ের, হুমায়ুন কবীর বাবলু, ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, অপারেটর প্রতিনিধি এস এম আনোয়ার পারভেজ, সৈয়দ মোশারফ আলি, এ বি এম সাইফুল হোসেন, মো. ফখরুদ্দিন মিয়া, এনামুল হাফিজ ছোটন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশে ক্লিনফিড চালু হওয়ায় দেশ উপকৃত হয়েছে। আইন বাস্তবায়ন হয়েছে। সরকার যে রাজস্ব হারাচ্ছিল, আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছিল তার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এখনো ডিজিটালাইজ হয়নি। এটি করলে সবার জন্যই সুবিধা। গ্রাহকরা আরো ভালোভাবে টেলিভিশন দেখতে পারবেন। দ্বিতীয়ত সরকার প্রতি মাসে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার ভ্যাট হারাচ্ছে। কেবল অপারেটররাও গ্রাহকদের কাছ থেকে যতখানি পাওয়ার কথা সেটি পায় না। টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষও তাদের দর্শকসংখ্যা জানতে পারছেন না।
যখন নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটাল হবে তখন কোনো চ্যানেল যদি পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সেটি তখন সহজ হবে। সরকার ও দেশের অর্থনীতির জন্য এটি মঙ্গল হবে। এ সময় ওটিটি প্ল্যাটফমের জন্য নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
স্বপ্নহীন-ভাষাহীনকে স্বপ্নও ভাষা দিতে পারেন সাংবাদিকরা : এদিকে সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাকশন এইড আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, তাদেরও একজন সাংবাদিক স্বপ্ন দেখাতে পারেন। সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা কষ্ট বেদনার কথা কাউকে বলতে পারে না, যাদের কষ্ট-বেদনার কথা কেউ ভাবে না। একজন সাংবাদিক তার কলমের মাধ্যমে, তার রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে, পত্রিকায় এমনকি অনলাইনে তার কথাগুলো বলতে পারে। তার মুখে ভাষা দিতে পারে এবং তাকে সাহস জোগাতে পারে।
আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে নিউজ ২৪ চ্যানেলের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট, একশন এইড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
একজন সাংবাদিকের ভুল রিপোর্টিংয়ের কারণে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে গত দশকে গণমাধ্যমের গাণিতিক বিকাশ ঘটেছে কিন্তু ভালো রিপোর্টিং করার প্রশিক্ষণ সেভাবে হয় না। এদিকে সুনজর দেয়া আবশ্যক।
অনুষ্ঠানে তিনজন তরুণ সাংবাদিক বিটিভির ইকবাল হোসেন, দ্য ঢাকা অ্যাপোলগের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর মিফতাহুল জান্নাত এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শরফুল আলমকে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। নিউজ২৪-এর সাংবাদিক বাবু কামরুজ্জামান, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক নীলিমা জাহান, দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক এম ইউসুফ আলি ও আইপিনিউজবিডি প্রধান প্রতিবেদক সতেজ চাকমাকে ফেলোশিপ দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়