দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

চাঁপাইয়ে এবার নতুন জাতের আম ‘স্যান্ডি’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্যান্ডি নামের নতুন জাতের আমের দেখা মিলেছে। গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের নাজমুল হকের বাড়িতে এ জাতের আম দেখা গেছে। জানা গেছে- এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১২ মাস গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে। বাজারে আমের সময়ে যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায় সে আমগুলোর স্বাদের দিক দিয়ে এর স্বাদ ভিন্ন। তবে এর ফলন খুব বেশি। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একসঙ্গে গাছে আম ও মুকুল ধরে। ফলে ১২ মাস পাওয়া যায় এ জাতের আম।
গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হক জানান, প্রায় ১১-১২ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারার সন্ধান পান তিনি। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান ও নার্সারি করে আম বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম ‘স্যান্ডি’ বলে জানিয়েছে।
প্রতিদিনই মুকুল ফোটে আর একটি থোকায় অনেক আম আসে। আমের ভেতর আঁশ নেই ও খেতে খুবই সুস্বাদু। এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের আবরণ খুব পাতলা ও আমের রঙ হলদে হলেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো, এক থোকায় অনেক আম ধরে। আর ১২ মাস মুকুল আসে। একবার মুকুল ভেঙে ফেললে ফের মুকুল হয়। এ জাতের আম খেতে অনেক সুস্বাদু।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে জানান, আমের সময় প্রায় শেষ। কিন্তু স্যান্ডি জাতের আম আছে। এই জায়গাগুলোর মাটি ভালো হওয়ায় আম নষ্ট কম হয়, তাই রাখা যায় বেশিদিন।
তিনি আরো জানান, ভারত থেকে আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে স্যান্ডি গাছের চারাটি রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। আমের ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এ আমের নাম দেয়া হয়েছে স্যান্ডি। আগের আমগুলোর দাম না পাওয়ার নতুন আম চাষে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় আড়াই লাখ টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়