আমার বাবা গোলাম রসুল- গত হলো কোনো এক ভাদ্র মাসের আঘাতপ্রাপ্ত সকালে- মা ভুগছেন হৃদরোগে- কয়েকদিন চোখের কোণে জমেছে কালি- আপন বলতে অপূর্বরাই কয়েকঘর… সারা রাত মায়ের অসুখটা বেড়েছে- সকাল হতে কিছু দেরি- দরজার সামনে বন্ধু অপূর্ব। ভেতরে গায়ে গা লাগিয়ে অপূর্বের মা- কৃষ্ণবালা। মাসিমা- ঘরের পাশে ঘর। বিছানায় মার মুখে পানি তুলে দিচ্ছেন মাসিমার বড় ছেলে বিকাশ। দীর্ঘশ্বাস তুলছেন মা বারংবার- বাবার মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন মেসো। নিজের চোখেই দেখেছে পাড়ার সবাই- কীভাবে আমি অথবা আমরা বেড়ে উঠেছি… প্রবোধ দাদাও আমাদের বাড়িতে খেয়ে পানি ফেলতেন নিজের বাড়িতে। দীর্ঘ স্বপ্ন নিয়েই আমরা পাশাপাশি বড় হয়েছি কিংবা আমাদের সকল ভালোবাসা অপূর্বদের অথবা অপূর্বদের আমাদের… একদিন মেসো ওদের মন্দিরের ধূপ, গামছা আর বাতাসা, ডাবের জলে অনুভূতিকে জাগ্রত করতে বলেছিলেন- সত্যিকার অর্থেই মানুষ হ।
আমি প্রতিদিন একটা বৃক্ষরোপি আর বৃক্ষের কাছে বসে থাকা মানুষটার গল্প শুনি- যার শিকড়ে জমে সম্প্রীতির আচ্ছাদন- এটাই ধীরে ধীরে একফালি চাঁদ হয়ে দ্যুর্তি ছড়াই… আত্মার ভেতরে লুকানো আত্মা- বিশ্বাসে বন্ধু অপূর্বের হাস্যোজ্জ্বল মুখ- এই বিশ্বাস ভস্মীভূত নিজের আগুনে কাঠঠোকরা ঠোকাচ্ছে নিজের শরীর। প্রীতির গোপন চিঠি আজ পুরনো স্মৃতি… তিনিই বুঝি রাজনৈতিক রোষানলের প্রথম বালিকা…তবু সুগন্ধ ছড়াক- আলোকিত হোক প্রেমিকার ঠোঁটচুম্বনে প্রতিটি বালক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।