চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

টিনএজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

– কী বুঝলে?
– মানে। এখন কোনো প্যাঁচাল নয়। ঘুমাব।
– বাবুনের কথা বলছি। বাবুন তো দিন দিন…।
– দিন দিন কী? এই বয়সে একটু আধটু ডানপিটেপনা করে। বাবা হয়ে তুমি ছেলেকে বোঝ না?
– তাই বলে?
– উফ! ঘুমাতে দেবে? একের পর এক প্রশ্ন করছ। স্কুল বন্ধ। বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। কতদিন মাঠে খেলতে যায় না। তাই একটু আধটু…। নিয়মের মাঝে কিছু অনিয়ম করছে বৈকি।
– বোকার মতো বাবুনের হাতে মোবাইল তুলে দিলে।
– তো? তাতে হলোটা কী। ছেলেটা গেম খেলছে। কার্টুন দেখছে।
– গেম কার্টুন দেখলে তো ভালো হতো। তুমি না বোকা। বাবুনের বোকা মা।
– কী করল বাবুন। খুলে বলবে তো। তবে এই জানি বাবুন দেরিতে ঘুমায়। রাত জাগে। এই অভ্যাস সাময়িক। স্কুল খুললে সব ঠিক হয়ে যাবে। বয়স ফরটিন প্লাস। তাই একটু আধটু পরিবর্তন তো…।
– তাই বলে এতো স্বাধীনতা? ওর হাতে মোবাইল দিয়ে মোটেই ভালো কাজ করনি।

– তবে কী মোবাইল নিয়ে নেব?
– নিতে তো হবেই। তবে এখন না। তার আগে চলো বাবুনের কীর্তিকলাপ দেখে আসি।
– বলো কী! এই মাঝরাতে? আমি যাব না। ঘুমাব।
– না তোমাকে যেতে হবে। এবং দেখতে হবে তোমার একমাত্র সন্তান রাত জেগে কী করে। মোবাইলে…।
চলো। এখনি চলো।
– না আমি যাব না। তুমি যাও। ছেলে কী শুধু একা আমার?
– কেন যাবে না?
– যাব না এই জন্য যে, বাবুন এখন টিনএজ সময় পার করছে। এখন কোনো জোর খাটানো যাবে না। ছেলেকে বুঝিয়ে সুজিয়ে যদ্দুর পারা যায়। পাশের বাড়ির সাবুর কথা মনে আছে?
– হ্যাঁ। মনে আছে। আবেগের বশে আত্মহত্যা…।
– হ্যাঁ আমি। আমি আমার বাবুনের ক্ষেত্রে তা হতে দেব না। আমি যদ্দুর পারি বাবুনকে বুঝাব। আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব। কারণ বাবুন আমাদের। একমাত্র আদরের সন্তান।
য় ইছামতী, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়