নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের ছয় ফাইনাল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ২০০৭ সালে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করে। এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হয় ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০০৭ বিশ্বকাপ, দক্ষিণ আফ্রিকা : আফ্রিকার জোহানেসবার্গ স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ফাইনালে এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারত ও পাকিস্তান প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৭ রান। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে একাই প্রাচীরের দুর্গ হয়ে দাঁড়ান ওপেনার গৌতম গাম্ভীর। ৫৪ বলে ২টি ছক্কার মার আর ৮টি চারের সাহায্য দলকে ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেন ভারতের এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সেদিন ভারতের লাইনআপে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ান ওমর গুল। বাকিরা খুব একটা চেপে ধরতে পারেনি ভারতীয়দের। ওমর গুল ৪ ওভার বল করে ২৮ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ৩টি উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই লড়াই চালায় পাকিস্তান। ১৫৮ রানের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিকে খুব একটা বড় লক্ষ্য নয়। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ইনিংসে ৩ বল বাকি থাকতেই থামে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। পাকিস্তান ম্যাচটি হারে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। ভারতীয় ফাস্ট বোলার ইরফান পাঠান ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ৩টি উইকেট। ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কারের জন্য তিনিই নির্বাচিত হন। আসরটিতে ১২ উইকেট ও ৯১ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ড : প্রথম আসরে মাত্র ৫ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করা পাকিস্তান সফলতার গল্প লেখে লন্ডনে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ম্যাচটিতে এশিয়ার আরেক পরাশক্তি শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। কুমার সাঙ্গাকারা ৫২ বলে ৬৪ রানের ইনিংস আর ম্যাথিউসের ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো স্কোর ছিল না আর কোনো লঙ্কান ব্যাটসম্যানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফ্রিদির ৪০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় পাকিস্তান। ম্যাচসেরা আফ্রিদি আর ৩১৭ রান নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন শ্রীলঙ্কার তিলকরতেœ দিলশান।
২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে বিজয়ের গল্প লেখেন ইংল্যান্ড। বার্বাডোস দ্বীপে ফাইনাল ম্যাচে ইংলিশরা অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিরা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্রেইজ কাইসওয়েটারের ৪৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের সাহায্য ইংলিশরা ম্যাচটি জিতে নেয় ৩ ওভার হাতে রেখেই। ফাইনালে ম্যাচসেরা পুরস্কার জিতে নেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ঝুলিতে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন আরেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসন।
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, শ্রীলঙ্কা : কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আয়োজক দেশকে একাই রুখে দিয়েছে ক্যাবিবীয় স্পিনার সুনীল নারিন। মাত্র ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা থেমে যায় ১০১ রানে। সুনীল নারিন ৩.৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। ম্যাচটিতে ৫৬ বলে ৭৮ রানরে ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্লন স্যামুয়েলস। আসরে ১১ উইকেট ও ২৪৯ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট সেরা হন অজি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন।
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ : পরের আসরে নিজেদের আক্ষেপ গুচিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে তারা ভারতকে হারায় ৬ উইকেটের বিনিময়ে। ভারতের দেয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে লঙ্কানরা পৌঁছে যায় ৩.১ ওভার হাতে রেখেই। ফাইনালে ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। আসরে ৩১৯ রান সংগ্রহ করে ভারতের বিরাট কোহলি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ভারত : টি-টোয়েন্টিতে বাহুর জোর যার যত বেশি আধিপত্য বিস্তার করার সম্ভাবনা তাদের বেশি। এই দিকটায় অন্যদের তুলনায় যোজন যোজন এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ইনিংসের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২০ রান। ব্যাটসম্যান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ইংলিশ বোলার বেন স্টোকসকে তুলোধুনো করেন। চার বলে চারটি ছক্কার মার মেরে ক্যারিবীয়দের জয় ২ বল হাতে রেখেই জয় এনে দেন এই ব্যাটসম্যান। চার উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
-জান্নাতুল সাদিয়া

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়