ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা : অস্বীকার করল চীন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মহাকাশে চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ফের আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই ইঙ্গিত মিলেছে। চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই পেন্টাগন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলোর সুরক্ষার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। হাইপারসনিক-এর অর্থ শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র। আগস্টে চীন মহাকাশে এমনই একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে আমেরিকার একটি সামরিক নজরদারি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়।
যদিও পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মহাকাশে লক্ষ্যভেদে সক্ষম হয়নি বলেও জানানো হয় ওই রিপোর্টে। এতে বলা হয়, পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
তবে পরীক্ষার ফল যাই হোক, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার ফলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দিক থেকে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। তাদের মতে, ভবিষ্যতে চীনা গবেষকরা ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভেদের ক্ষমতাকে আরও নিখুঁত করে তুলতে পারবেন। এই ধরনের অতি দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার মতো প্রযুক্তি এখনো পেন্টাগনের নেই। এই পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের উপযুক্ত কারণ রয়েছে বলেই তাদের মত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এতে চীনের তরফে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। চীনা বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন গত মঙ্গলবার বলেন, কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়নি। নিয়ম মেনে মহাকাশযান পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা যাচাই করা হয়েছে। মানব সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যে চীন বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ মহাকাশ অভিযানে অংশ নেবে। তিনি আরো জানান, মহাকাশ অভিযানের খরচ কমানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রকেটের সাহায্যে একটি হাইপারসনিক যান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়