এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

বিদেশফেরত যাত্রীরাই ছিল ছিনতাই চক্রের মূল টার্গেট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনার লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মাসুদুল হক ওরফে আপেল, মো. আমির হোসেন হাওলাদার ও মো. শামীম। রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মীরবাগ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি পাসপোর্ট, ২টি এনআইডি কার্ড, ২টি এটিএম কার্ড, ১টি আইপ্যাড, ১টি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, ১টি বিএমইটি কার্ড, ১টি অফিস আইডি কার্ড, ১টি স্টিলের চাকু ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, এ চক্রের সদস্যরা কখনো ডাকাতি, কখনো ছিনতাই আবার কখনো অজ্ঞানপার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসা যে সব যাত্রীরা একা বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে তাদের টার্গেট করে চক্রটি। পরে নানা কৌশলে কষ্টের উপার্জন দিয়ে আনা পরিবারের জন্য আনা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ধরনের একটি চক্রকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পৃথক দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হলে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হয়। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার কাজী শফিকুল আলমের সার্বিক নির্দেশনায় ও অতি-উপকমিশনার আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধায়নে অতি-উপকমিশনার মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশীর নেতৃত্বে গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দেশে আসা শুরু করায় তাদের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে চক্রটি।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের হোতা মাসুদুলের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে ৭টি। তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের টার্গেট করে চক্রটি ৫০-৬০টি ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের পর মালামাল লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে মাত্র ৭টি। দ্রুত বিদেশ ফিরে যাওয়ার তাড়া থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা ঝামেলা মনে করে মামলা করছেন না। আবার ১০-১৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে ঘুরতে আসা বিদেশিরাও দ্রুত পাসপোর্ট তুলে ফিরে যাচ্ছেন। যে কারণে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা কম হচ্ছে। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়