এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : সহিংসতা প্রতিরোধে আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দুর্গাপূজা ঘিরে সা¤প্রদায়িক অপশক্তির সৃষ্ট সহিংসতা রোধে আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের টানা ১৩ বছরে এর আগে কোনো দুর্গাপূজায় সহিংস ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অবাক করে দিয়েছে। আমরা ভাবতেই পারিনি। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কারণ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ- শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তৎপর। তারা বুঝে ফেলেছে, শেখ হাসিনার সরকারকে ভোটে হারানো যাবে না; আন্দোলনেও জনগণ সাড়া দেব না। কারণ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি। তার সাহসী নেতৃত্ব, অর্জন, উন্নয়নে সারা বিশ্ব তাকে সম্মান করে। আগামী বছর বেশ কয়েকটি ‘মেগা প্রকল্প’ উদ্বোধন হবে। এটা বিএনপির অন্তজর্¦ালার কারণ, এটাই সাম্প্রদায়িক শক্তির গাত্রদাহের কারণ।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের মধ্যে ভেতরে মধুর বন্ধন অটুট রয়েছে বলেও মন্তব?্য করেন কাদের। তিনি বলেন, সব সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা এক- বিএনপি। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ ছিল। একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারাই এ হত?্যাকাণ্ড করেছিল দেশি-বিদেশি নীলনকশায়। সেই শক্তি বঙ্গবন্ধু হত?্যার পর ২১ বছর বিষবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। এদের ডালপালা আজ অনেক দূর চলে গেছে। এদের শেকড়ও অনেক গভীরে। মাঝে মনে হয় নিষ্ক্রিয়, আসলে এরা সক্রিয়; সুযোগ পেলেই ছোবল মারে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিষধর সাপ। সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে- তার প্রমাণ এবার দুর্গাপূজা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মেধা বৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান এবং শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়। শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়