এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

একযোগে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা : ভোগান্তি হলেও খুশি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতক ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, অর্থব্যয়সহ বিভিন্ন দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একসঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশের ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। গতকাল রবিবার ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একযোগে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের ২৭টি কেন্দ্রে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে মহামারি করোনার মধ্যে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে হঠাৎ তারিখ নির্ধারণ, বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট না রাখা, পরীক্ষার ফি দ্বিগুণ করা, নিজ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সিট না পাওয়ায় অনেকে ভোগান্তিতে পড়লেও সব কিছু ছাপিয়ে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে তারা জানান মিশ্র প্রতিক্রিয়াও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়, যা সবচেয়ে বড় কেন্দ্রের তালিকার একটি। পরীক্ষা ১২টা থেকে শুরু হলেও কর্মদিবসে পরীক্ষা হওয়ায় পুরান ঢাকার রাস্তার তীব্র যানজট নিরসনে ব্যর্থ হতে হয়।
তাই নির্ধারিত সময়ের পরও মানবিক কারণে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পেরেছেন। কেন্দ্রে তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থীর আসন নিশ্চিত করা হয়। সার্বিক কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়তা করে। তবে কেন্দ্রে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি মেয়ে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অবাক হন সবাই।
নারায়ণগঞ্জ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে।
তবে আমি বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থেকে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয় এটা হবে না। তাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এছাড়া পুরান ঢাকায় এত জ্যাম। অনেক দূর থেকে হেঁটে এসেছি। তবে আমার দুই বন্ধু জ্যামের জন্য পরীক্ষা দিতেই পারেনি।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। তবে প্রথমবার বলে এবার আমাদের কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল।
আগামীতে সেগুলো কাটিয়ে উঠব। অনেকে যানজটের কারণে দেরিতে এলেও মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা তাদের পরীক্ষা নিয়েছি। এছাড়া যাদের কেন্দ্রে ভুল হয়েছে তারা যদি জবিতে আসে, আমরা তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করব।
গুচ্ছে অংশগ্রহণকারী ২০ বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
জবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের হাতাহাতি : এদিকে গতকাল গুচ্ছ পরীক্ষার দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা ভীত হয়ে পড়েন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়