এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

আতঙ্কে সংখ্যালঘুরা : ফেনীতে মন্দির দোকানে হামলায় দুই মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শুকদেব নাথ তপন, ফেনী থেকে : ফেনীর চারটি মন্দির ও ১৫টি দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ। গতকাল রবিবার রাতে পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মধ্যে পাকিস্তান, সরকারের মধ্যে তালেবান ও প্রশাসনের মধ্যে খন্দকার মোস্তাকরা রয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী যা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুব আন্তরিক। কিন্তু সরজমিন তা বাস্তবায়নে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। আগামী ২৩ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে আমরা সরকারকে জানান দিতে চাই আমাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
শনিবার রাতে ফেনীর বিভিন্ন মন্দির ও দোকানে হামলা লুটপাটের ঘটনায় মডেল থানায় গতকাল রবিবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার দুজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। একটি মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন এবং অপর এক মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার পর আতঙ্কে আছেন ফেনী জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
শহরের মন্দিরগুলোতে পুলিশের পাহারা রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল। শহরের বড় বাজারের কালীমন্দির ও শহরতলীর ফেনী সোনাগাজী সড়কের কালীপাল গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম ও দুর্গামন্দিরে পড়ে আছে ধ্বংস চিহ্ন। কালীমন্দিরের মূল ঘরে পড়ে আছে প্রতিমার ভাঙা অংশ। মূল মন্দিরের ফটক ভাঙার যে চেষ্টা করা হয়েছে তা স্পষ্ট চিহ্ন বহন করছে। মন্দিরের বাইরের সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাত থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে পুলিশি পাহারা চলছে।
কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে মন্দির-বসতবাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে ফেনীতে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতেও হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে র?্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম ইউছুফ, ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মিয়াজী, শহরের ব্যবসায়ী নেতারা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, যুগ্ম সম্পাদক মন্দ্রি কুমার নাথ, কেন্দ্রীয় পূজা উদ?যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, শ্যামল পালিত, শুকদেব নাথ তপন, হীরালাল চক্রবর্তীসহ জেলা উপজেলার নেতারা ফেনীর বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন বলেন, শনিবারের ঘটনায় করা দুই মামলায় প্রায় ৪০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
ফেনীতে মন্দিরের ওপর দফায় দফায় হামলার নেতৃত্ব ও মূল পরিকল্পনাকারী ফেনী সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌসিফ মাহমুদ লাবিবকে (২২) আটক করেছে র‌্যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়