ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

পলাশবাড়ীতে মাল্টা চাষে সোহেলের বিপ্লব

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. শাহরিয়ার কবির আকন্দ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে : পলাশবাড়ী উপজেলার সোহেল মাল্টার বাগান করে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তিনি সবুজ মাল্টার বাগান করে উপজেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সোহেল পৌরসভার আন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
৫-৬ বছর আগে সোহেল মাল্টা বাগান করেন। তার বাগানে প্রচুর মাল্টা ধরেছে। তিনি মাল্টার এত বিশাল বাগান গড়ে উপজেলায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। একজন সফল মাল্টা চাষি সোহেল বাগানের পরিচর্যা নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। অবশ্য এ বাগান তৈরির ব্যাপারে তাকে উৎসাহ প্রদান করেছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। তার দেখাদেখি পৌরসভার সুইগ্রামের শরিফুজ্জামান শরীফ বিশাল মাল্টা বাগান গড়ে তুলেছেন। তার মাল্টার বাগানে সোহেলের চেয়ে বেশি মাল্টা ধরেছে।
পলাশবাড়ী উপজেলার মাটি, আবহাওয়া আর পরিবেশ মাল্টা চাষের অনুকূলে থাকায় মাল্টাও ধরেছে প্রচুর। মাল্টার ভারে গাছের ডালপালাগুলো মাটির দিকে হেলে পড়েছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার আড়ালে ও ডালে ডালে ঝুলছে থোকায় থোকায় মাল্টা। মাল্টার বাগান দেখে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। সোহেলের মাল্টার বাগানে এই প্রথম ফল আসতে শুরু করেছে। সোহেল লাখ সাতেক টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। মাল্টা বাগানেই কথা হয় সোহেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমে ১০টি বারি মালটা ১-এর চারা এনে এর থেকে লেপটিং পদ্ধতিতে ৫ বিঘা নিজের জমিতে ২৫০টি গাছের মাল্টা বাগান গড়ে তুলি ২০১৪ সালে। বর্তমানে মাল্টার বাগান দেখার মতো হয়েছে। আশান্বিত ফলও দেয়া শুরু হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রি করা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। প্রথমে রোগ-বালাইয়ের পরিমাণ একটু বেশি ছিল, এখন সেগুলো আর নেই।
সোহেল আরো বলেন, পলাশবাড়ীতে ফলের দোকানগুলোতে সবুজ মাল্টার চাহিদা দিন দিন ব?্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগান থেকেই ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান কোনো ঝামেলা ছাড়ায়। এছাড়া তার আর একটি বাগানে ৬০টি চায়না কমলার গাছ রয়েছে। এগুলোতে ফল না এলেও গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এছাড়া চায়না লেবু এবং কিছু লিচু গাছও রয়েছে। অনেকেই এই বাগান দেখতে আসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ‘মাল্টা একটি অর্থকরী ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণে ভরপুর সুমিষ্ট ফল। মাল্টা বারি-১ একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল। পলাশবাড়ীতে মাল্টা চাষের ব?্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে কেউ যদি মাল্টা বাগান করতে চায়, তবে তাকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন জানান, সোহেল এত সুন্দর মাল্টা বাগান করে উপজেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার বাগানে কোনো প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। এমন সুন্দর বাগান এ অঞ্চলে মাল্টা উৎপাদনে অনেককেই উৎসাহিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়