কাগজ ডেস্ক : ক্রমেই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার। যদিও মধ্য আমেরিকার এল সালভাদর ছাড়া কোনো দেশই এখনো ভার্চুয়াল এসব মুদ্রার লেনদেন অনুমোদন দেয়নি। তবু থেমে নেই এসব মুদ্রার লেনদেনের বিস্তৃতি। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এইএমএফ বলেছে, আর্থিক অস্থিতিশীলতা, ভোক্তা প্রতারণা ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ঝুঁকি তৈরি করা ক্রিপ্টোকারেন্সির দ্রুত বৃদ্ধি রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। ২০২০ সালের শুরু থেকে ডিজিটাল কিংবা ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টো সম্পদের মূল্য ১০ গুণ বেড়ে ২ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এ বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারগুলোর আরো সক্রিয় এবং তহবিল তত্ত্বাবধায়ন করা প্রয়োজন।
আসন্ন গেøাবাল ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টের একটি অধ্যায়ে আইএমএফ জানিয়েছে, অনেক নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে শক্তিশালী অনুশাসনের অভাব এবং ঝুঁকি রয়েছে। এ অধ্যায়ের লেখক দিমিত্রিস ড্রাকোপলোস, ফ্যাবিও নাটালুচি ও ইভান পাপাজিওর্গিও একটি ব্লগে বলেন, বাজারে ব্যাঘাতের সময় ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত হয়েছিল। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রোফাইল হ্যাকিংয়ের মতো ঘটনাও রয়েছে। যদিও এসব ঘটনা আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। তবে ক্রিপ্টো সম্পদগুলো আরো মূলধারায় পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃহৎ অর্থনীতির জন্য সম্ভাব্য প্রভাবের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির অপর্যাপ্ত প্রকাশ ও তদারকির কারণে ভোক্তাদের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা। তাদের মতে, এ ধরনের কিছু মুদ্রা সম্ভাবত কেবল ফটকা কিংবা সরাসরি জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।