প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

বিনিয়োগকারীরা আগের তুলনায় অনেক স্মার্ট

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীরা আগের তুলনায় এখন অনেক স্মার্ট। এখন আর অন্যের দেখাদেখি সবাই ক্রয় বা বিক্রয় করে না। এছাড়া একটি আইটেমের পরিবর্তে অনেকগুলো দিয়ে পোর্টফোলিও সাজায়।
গতকাল রবিবার ‘রোল অব স্মার্ট ইনভেস্টর অ্যান্ড মার্কেট সার্ভিল্যান্স’ শীর্ষক গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন আরেক কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
শেখ সামসুদ্দিন বলেন, শেয়ারবাজারের বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে গণশুনানি করা হচ্ছে। যা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এখান থেকে অনেক করণীয় বিষয় উঠে আসে। আমাদেরকে প্রযুক্তিতে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এখনো আমাদেরকে ব্যাংক বন্ধ রাখলে, শেয়ারবাজার বন্ধ রাখতে হয়। এটা একটি ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা লেনদেনের ব্যবস্থা করতে হবে। রেগুলেটরদের সার্ভিল্যান্স নিয়ে কেউ কেউ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তোলেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্যেই সঠিকভাবে সার্ভিল্যান্স ব্যবহার না করা, কারসাজিকারীকে শাস্তি কম প্রদানকে শেয়ারবাজারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে তুলে ধরেন। উদাহরণ হিসেবে দৈনিক যুগান্তর প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের কারসাজিকারীদের বিস্তারিত তুলে ধরলেও রেগুলেটরদের সার্ভিল্যান্সে ধরা না পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, একজন বিনিয়োগকারীকের স্মার্ট হতে গেলে কিছু গুণ থাকতে হবে। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার ব্যবসায় ব্যয়ের বিষয়ে জানতে হবে, রিস্ক কমানোর দক্ষতা থাকতে হবে, লোভ দূর করতে হবে, পুরো টাকা এক খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে কয়েক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং সর্বোপরি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, একটি কোম্পানির পিএসআই প্রকাশের আগে কারা সেই কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং তাদের সঙ্গে কোম্পানির কী সম্পর্ক, তা খুঁজতে হয়। এজন্য আমাদেরকে অনেক তথ্য যাচাই করতে হয়। কিন্তু যদি এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেত, যে সফটওয়্যার বলে দেবে সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যক্তিদের নাম। তাহলে কারসাজিকারীদের শনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়