ডুপ্লেক্স বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ : লকডাউনে কাজ করলে এখন ভোগান্তি হতো না > জমানো পানিতে বাড়ছে এডিস মশা

পরের সংবাদ

শহরের ঠিক পাশেই সেবাড়ি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাড়িটা অনেক দিনের পুরনো চুন বালি গেছে খসে
চারদিক ঘেরা উঠোনের ধারে দেয়াল গিয়েছে ধসে।
গাছগাছালিতে ভরা বাড়িটার যতœ নেই কো তেমন
বাবা কি কখনো ভেবেছিলো হবে বাড়ির চেহারা এমন?

এই বাড়ি ছিলো গমগম আহা রয়েছে কত না স্মৃতি
ছিলো হইচই, বনেদি বাড়ির ছিলো কত রীতি-নীতি।
আটখানা ঘর সেইসাথে এক বৈঠকখানা পাশে
সেই বাড়ি আজ শব্দবিহীন, ফাঁকা ঘর একা হাসে।

ফাঁকা ঘর হাসে দুঃখের হাসি যদি কেউ আসে বাড়িতে
বুক টন টন করে ওঠে, ভাবে পড়েছে কি টান নাড়িতে?
নাড়ির টানেতে মাঝে মাঝে এসে খোলে ঘরবাড়ি তালা
ছোট ছেলে আসে, আসে মেজোটাও, সাথে আসে বড় খালা।

থাকে না তো তারা আছে কি বাড়িতে ফ্রিজ কিবা কোনো এসি?
আছে কি রঙিন টিভি এইখানে খেলছে যেখানে মেসি?
আছে ধুলোবালি, মাকড়সা ঝুল, আছে কিছু টিকটিকি
এই বাড়ি আজ পুরনো কয়েন, বাতিল আধুলি সিকি।

শহরের ঠিক পাশেই এবাড়ি, জমি তাই বেশ দামি
বাড়ছে শহর ক্রমেই এদিকে, শহর অগ্রগামী।
ভাবছে সকলে কী হবে রেখে এই বাড়ি ভাঙাচোরা
দাও বেচে দাও মোটা টাকা পাবো, গাড়ি চড়ে যাবে ঘোরা।

কিছুদিন থেকে বাড়িটাতে তাই বেড়ে গেছে আনাগোনা
আসছে বড়রা, ছোটরাও সাথে, মাপছে জমির কোনা।
ঘরগুলো কাঁদে, শ্বাস ফেলে বাবা দূরের আকাশে বসে
কী করে ঠেকাবে? ডিজিটাল যুগ, এ যুগ দেখেনি তো সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়