অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার বিশ্লেষণ : বাজার মূলধন ফিরেছে ১৮০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে সমাপ্ত সপ্তাহে ৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুই কার্যদিবসই পতন হয়েছে। বাকি দুই কার্যদিবস উত্থান হলেও সপ্তাহ শেষে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে কিছুটা কমেছে। সূচক বাড়ার সঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭২১ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছেন।
সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ হাজার ৩১১ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৪২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩১২ টাকা বা ৩.২১ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১.২৩ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৬০.৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে ১ হাজার ৪৬১.৩৪ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৪.০৩ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২৩.৫৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির বা ৫৯.২৬ শতাংশের, কমেছে ১৪৩টির বা ৩৭.৮৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির বা ২.৯২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৬২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩১৬ টাকা কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৭.৮৫ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭১৩.২৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৮.৪৬ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৮৫.৬০ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৯.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৬৭ শতাংশ এবং সিএসআই ৯.০৮ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৮২০.৫২ পয়েন্ট, ১৪ হাজার ৪৭৮.৩৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৪২৭.৯০ পয়েন্টে এবং এক হাজর ২৪৭.০৪ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮০টির বা ৫২.৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৪৩টির বা ৪১.৫৭ শতাংশের কমেছে এবং ২১টির বা ৬.১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পিই রেশিও বেড়েছে : সমাপ্ত সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৯.৬৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৯.৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৬ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৯.৬৮ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪১.৩৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৭৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫.৫৩ পয়েন্টে, বিমা খাতের ২১.৭০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩১.৫৭ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩২.৫৩ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি খাতের ১২.৫৯ শতাংশ, চামড়া খাতের ২৮৬.৮৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬.৭৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৫৫.২৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১১৫.৪১ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৮.২৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৮১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৫.৬২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৫.৩১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়