অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

রাজধানীতে আইস ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে ভয়ংকর মাদক আইস ও ইয়াবাসহ ১০ জন ধনীর দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগ। তারা হলেন- রুবায়াত, রোহিত হোসেন, মাসুম হান্নান, আমানুল্লাহ, মোহাইমিনুল ইসলাম ইভান, মুসা উইল বাবর, সৈয়দা আনিকা জামান ওরফে অর্পিতা জামান, লায়লা আফরোজ প্রিয়া, তানজিম আলী শাহ এবং হাসিবুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
গত শুক্রবার বিকাল থেকে গতকাল শনিবার ভোর পর্যন্ত বনানী, বারিধারা, বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ৮টি মামলা করা হয়েছে।
ডিএনসি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে সবাই ছিলেন ইয়াবা ও আইসে আসক্ত। সেবনের পাশাপাশি তারা নিজেরাই জড়িয়ে পড়েন আইস কারবারে। তাদের কেউ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, কেউ বা একাধিক আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মালিক, কেউ বা মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসেছেন।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মো. ফজলুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসার একটি বড় সিন্ডিকেট।
আভিজাত এলাকায় তাদের বিচরণ। প্রত্যেকেই উচ্চবিত্ত শ্রেণির সন্তান অথবা ব্যবসায়ী। এক মাস আগে একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই সিন্ডিকেটের সন্ধান মেলে। তারা মিয়ানমার থেকে আইস ঢাকায় নিয়ে আসে। জব্দকৃত আইস দিয়ে এক লাখ পিস ইয়াবা প্রস্তুত করা যেত।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ কৌতূহল থেকে আইস নামের মাদক সেবন করতে গিয়ে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা এক গ্রাম আইস ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় কেনাবেচা করত। ইয়াবার চেয়ে ২০ গুণ বেশি শক্তিশালী ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। এটি মানব মস্তিষ্কের নিউরনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। মাদক ব্যবসায়ীরা এখন ইয়াবার পরিবর্তে আইস নিয়ে আসছে। এটি বহন যেমন সহজ, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবারের সদস্যদের ফাঁকি দেয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের সবাই সচ্ছল পরিবারের সন্তান। গ্রেপ্তার রোহিত হোসেন মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা করেছেন। মালয়েশিয়াতেই তিনি আইসে আসক্ত হন। এরপর দেশে ফিরে এ মাদক কারবারে জড়ান। উত্তরায় তার বাবার একটি বড় মার্কেট রয়েছে। গ্রেপ্তার প্রত্যেকেই মাদকসেবী। সেবন করতে করতে তারা আইস কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের প্রত্যেকের আলাদা পেশা রয়েছে। সেসব পেশার আড়ালেই তারা আইসের কারবার করছেন। এদের মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছে।
ডিএনসির এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস সর্বপ্রথম ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। ১০ থেকে ১২ বছর এর অস্তিত্ব পাইনি। ২০১৯ সালে আবারো এ মাদকের আবির্ভাব ঘটে। সে বছর আমরা রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইস তৈরির কারখানার সন্ধান পাই। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তিনি মালয়েশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনার সময়ই আইস তৈরির কারিগরি জ্ঞান অর্জন করে। পরে দেশে ফিরে আইস তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির যুবক সমাজের মাঝে এ মাদক ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়