অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই : বিপন্ন লেজযুক্ত মাদি বানর এখন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাসির উদ্দিন জর্জ, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : বিশ্বে বিপন্ন প্রায় প্রাণী ছোট লেজওয়ালা মাদি বানর (স্টাম্প-লেজযুক্ত ম্যাকাক) এখন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে স্টাম্প-লেজযুক্ত ম্যাকাকটি এখানে আনা হয়। এটি বিপন্ন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম একটি প্রাণী। এর ইংরেজি নাম হচ্ছে ংঃঁসঢ়-ঃধরষবফ সধপধয়ঁব বা নবধৎ সধপধয়ঁব। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে গধপধপধ ধৎপঃড়রফবং।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশের কোথাও এ প্রাণীটির দ্বিতীয়টি আর নেই। সেখানকার স্থানীয় বন বিভাগ বানরটি একটি মিনি পার্কে অননুমোদিতভাবে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে। ভারতের আসাম থেকে প্রাণীটি বাংলাদেশে চলে এসেছে বলে ধারণা বন বিভাগের।
পুরুষ ছোট লেজওয়ালা বানর মাদি বানরের চেয়ে পরিমাপে বড় হয়। যেখানে তারা ৫১.৭ থেকে ৬৫ সে.মি. লম্বা এবং ওজন ৯.৭-১০.২ কেজি, সেখানে মাদি ছোট লেজওয়ালা বানর ৪৮.৫-৫৮.৫ সে.মি. এবং ওজন ৭.৫-৯.১ কেজি।
তিনি জানান, ছোট লেজওয়ালা ম্যাকাকের শরীর লম্বা, মোটা, গায়ে বাদামি পশম হয়। পশমগুলো সাধারণ বানরের চেয়ে কিছুটা লম্বা। এদের মুখ এবং লেজ পশমহীন ৩২ থেকে ৬৯ মিলিমিটার। জন্মানোর সময় এদের বর্ণ সাদা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল হয়। মুখ বাদামি বা কালো হয়ে থাকে। বয়স্ক ছোট লেজওয়ালা বানরের মাথায় টাক থাকে।
স্টাম্প-লেজযুক্ত ম্যাকাক উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বনে এবং বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন আবাসস্থলে পাওয়া যায়। তারা ১৫০০ মিটার (৪৯২১ ফুট) এর নিচে ঘন চিরহরিৎ বন এবং ১৮০০ থেকে ২৫০০ মিটার (৫৯০৫ এবং ৮২০২ ফুট) এর মধ্যে উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনাঞ্চলে বাস করে, যা ওই এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে।
তাদের গালে যে থলি থাকে তাতে অল্প সময়ের জন্য খাবার সংরক্ষণ করে থাকে। গাছে অবাধে বিচরণ করতে না পারায় এরা সাধারণত মাটিতে ভ্রমণ করে। চিতা বাঘ বা শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বড় বড় গাছে চড়ে বসে।
খাদ্যের মধ্যে সাধারণত ফল অন্যতম। এরা অনেক পরিমাণে পোকামাকড়, ছোট প্রাণী এবং ডিম খায়। খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য রেইন ফরেস্টের ওপর নির্ভর করে। ভারতের হিমালয় অঞ্চলের সীমানা ছাড়া শুষ্ক বনে এদের পাওয়া যায় না।
উদ্ধারকৃত স্টাম্প-লেজযুক্ত মাদি ম্যাকাকটি পার্কের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক চলাফেরা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়