অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

করোনায় ভ্রমণ কর কমেছে ৬৪ শতাংশ

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণরোধে দেশে জারি হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পর্যটন শিল্পে। যে কারণে এ খাতে আশঙ্কাজনক হারে কর কমেছে প্রায় ৬৪ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা কম কর আদায় হয়েছে। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভ্রমণ করে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২২৫ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩২ শতাংশ আদায় হয়েছে, যা গত (২০১৯-২০২০) অর্থবছরের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। ওই অর্থবছরে ৯৩০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকার ভ্রমণ কর আদায় হয়েছিল। যদিও করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের সব পর্যায়ে। যার প্রভাবে বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রেকর্ড ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়েছে এনবিআরকে। ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা।
এনবিআরের তথ্যানুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চূড়ান্ত হিসাবে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি প্রায় ৪১ হাজার ১১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার মূল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে ৭০ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের ১২ মাসে (জুলাই-জুন) আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে প্রতিষ্ঠানটির আদায় যথাক্রমে ৮৫ হাজার ২২৪ কোটি ১৭ লাখ, ৯৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ এবং ৭৭ হাজার ১৫০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যেখানে সদ্য সমাপ্ত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৭ হাজার কোটি, ভ্যাট থেকে ১ লাখ ১০ হাজার এবং শুল্ক খাত থেকে ৯৪ হাজার কোটি টাকা।
প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক হলেও করোনার প্রভাবে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে রাজস্ব আহরণে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি ২০২১-২২ বাজেট ঘোষণার আগে এনবিআর ২৯ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা কমানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল, যা অনুমোদিত হয়। ফলে নতুন লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণরোধে দীর্ঘসময় পর্যটন খাত বন্ধ ছিল। যার প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ কর খাতে। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে পর্যটকের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। যার কারণে ভ্রমণ করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলেও মনে করেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়