এইখানে একা দাঁড়িয়েছিলে, তুমি
হেমন্তের দুপুরে, তাকিয়ে দেখলে তামাটে মেঘ
পাঁজরের ফাঁকে ফাঁকে অন্ধচরাচর, স্তব্ধ¯্রােত, চোরাবালি
ফাটা চৌচির মাটিতে ভাঙ্গাচোরা মানুষের মুখ
তীব্র কোলাহলে উড়ে যাওয়া সাদা পাতার খোঁজে
কেন দাঁড়িয়েছিলে অজ্ঞাতে নিঃসঙ্গ রুদ্ধদ্বার প্রান্তে
তোমাকে না দেখে নদী ফিরে গেল অন্ধকার অজান্তে
অপরাহ্ণের দেহে জড়ালে বিষাদের কারুকাজ
উত্তরের হাওয়ায় পূর্ণিমারা প্রান্তরে আসে না
মন খারাপের বারান্দায় প্রজাপতি দেখতে
কার ডাকে ফিরে এলে এই কৃষ্ণ উপত্যকায়
অসম্ভবের ঠিকানায় সে এক ফেরিওয়ালা
নিরুদ্দেশ হওয়ার কথা ছিল না অভিমানের
শব্দের আগল ভেঙ্গে সংগ্রহে রাখা লজ্জা খুলে
প্রতিশ্রæতির সিঁদুর মাখা বিকেলগুলি কবিতার
পাল তোলা নৌকা হয়ে ভাসবে সুনীল সমুদ্রে
ফিরে যাবে, তবে কেন দাঁড়ালে, দেখলে
অবুঝ মানুষগুলোকে নিদ্রাহীন সরণিতে
উল্লাসে তোলপাড় জলকন্যাদের কাঁচুলি
সোনালি ইশারাতে স্বর্ণ পঞ্চমীর চাঁদ
শ্যামল পাহাড় আর বনজ্যোৎ¯œায় হরিণীর চোখে
বহুযুগের মায়ার খেলা দেখলে, অহল্যা পাষাণে অস্ফুট ধ্বনি
আদিম গুহায় লুকিয়ে রাখলে ভালোবাসার প্র¯্রবণী সুধা
মাঝরাতের শহরে নিঃস্ব রঙ্গিলাকে দিলে আলোকবর্তিকা
আমরা এখনো এই নগরে জেগে থাকি
আমাদের পাশে থাকে মৃত্যুর অনুচর
চিতাভস্ম জলে ফেলি, শূন্যতার পূজা সেরে কবর খুঁড়ি
পালকির গান করি, চতুরদোলায় দেখি শেষ পারাপার
বিশাল আকাশ উপরে রেখে মাটির আঁধারে
শত কবিতার কলরবে হাজার গল্পের রেখাচিত্রে
আমাদের প্রচ্ছদ শুয়ে আছে সাদা পৃষ্ঠা বুকে নিয়ে
অনন্ত শূন্যতায় পাতাদের সংসারে চন্দনের বনে …
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।