কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জনগণের উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ জনকল্যাণ নিশ্চিত করাকে তার বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক কাঠামোতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় এখনো ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বারভিডার (বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন) আয়োজনে সোমবার বিকেলে বারভিডা কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ভাবনা : বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। বারভিডা সভাপতি আবদুল হক এবং সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন, সহসভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম (সম্রাট) ও মো. জসিম উদ্দিন মিন্টু, ট্রেজারার মো. আনিছুর রহমান, কালচারাল সেক্রেটারি বেনজির আহমেদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হোসেন ভূইয়া (রানু), মো. নাজমুল আলম চৌধুরী, মো. ইউনুছ আলী ও ডা. মো. আনিসুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বারভিডা নেতারা বলেন, প্রায় ৩ দশক আগে যে বারভিডা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বর্তমানে এ সংগঠনের প্রায় ৯০০ ব্যবসায়ী স্বাধীন দেশে মোটরযান ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। স্বাধীন দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এজন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। ব্যবসায়ী নেতৃরা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারছি, বাংলাদেশ এখন আর সাহায্য বা ঋণনির্ভর দেশ নয়। শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ঋণদাতা দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা শোক দিবসে শোক পালনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন ও কাজগুলো বাস্তবায়নে শপথ নেন, যাতে তাদের কর্মের মাধ্যমে জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।