অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

বন্দর থেকেই আমদানি পণ্য খালাস চায় বিজিএমইএ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পণ্য খালাস কার্যক্রম দ্রুততরকরণ এবং অতিরিক্ত খরচ থেকে রক্ষা করতে বেসরকারি আইসিডি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) থেকে নয়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই আমদানি পণ্যের কন্টেইনার খালাস নিতে চায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে কন্টেইনারপ্রতি প্রায় ৬৫ ভাগ খরচ বেশি এবং দ্বিগুণ সময় লাগে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহানের সঙ্গে তার চট্টগ্রামস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তাকে এ আনুরোধ জানান। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে কন্টেইনারপ্রতি প্রায় ৬৫ ভাগ খরচ বেশি এবং দ্বিগুণ সময় লাগে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর গত ১২ আগস্ট একটি চিঠি দেয় বিজিএমইএ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, মো. ইমরানুর রহমান, মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, তানভির হাবিব, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকি), এম, এহসানুল হক, মোহাম্মদ মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), সাবেক ১ম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ১ম সহসভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস (সমুদ্র) বিষয়ক বিজিএমইএর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম (বন্ড) বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক পরিবহন এনামুল করিম, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত-ই-খুদা মিল্লাত প্রমুখ।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালবাহী কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে খালাস করতে পোশাক মালিকদের পূর্বে সময় লাগত ২ দিন। বর্তমানে বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে সেই কন্টেইনার খালাস করতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে পোশাক উদ্যোক্তাদের আর্থিক মাশুল দিতে হচ্ছে। আবার বেসরকারি আইসিডিতে প্রতি কন্টেইনারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে, তার বন্দরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। পোশাক শিল্প যখন কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে লিপ্ত, তখন চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে এই অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ ও বাড়তি চার্জ আদায় শিল্পের স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করছে। বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, আসন্ন মাসগুলোতে পোশাক রপ্তানি আরো বাড়বে বলে আশা করছি। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সামর্থ্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করছে। সভায় তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সব স্টেক-হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, পোশাক শিল্পে রপ্তানি ও আমদানি পণ্যের জাহাজিকরণ নির্বিঘœ ও সময়সাশ্রয়ী করার জন্য বিজিএমইএ এর গৃহীত উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস (টুয়েন্টি ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট)। গত ১২ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ছিল ৩৫ হাজার ৪১৯ টিইইউস। ১৯টি বেসরকারি আইসিডিতে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার ৭০০ টিইইউস। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আইসিডিগুলোতে কন্টেইনার ছিল ৫৬ হাজার ৫৯৭ টিইইউস। এর মধ্যে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ১৪ হাজার ৪৪১ টিইইউস, রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ৭ হাজার ৬১৩ টিইইউস এবং খালি কন্টেইনার ৩৪ হাজার ৫৭৩ টিইইউস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়