বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

ভোমরা স্থলবন্দর : রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের জন্য ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি।
এদিকে ওই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। তবে বন্দর-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থবছরের প্রথম মাসে করোনা মহামারির কারণে ঘাটতি পড়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হলে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের জ্যেষ্ঠ রাজস্ব আকবার আলী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক (এনবিআর) চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের জন্য ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগস্টে ৭৩ কোটি ১৫ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬৪ কোটি ৫ লাখ, অক্টোবরে ৮৪ কোটি ৫ লাখ, নভেম্বরে ১২৩ কোটি ২৫ লাখ, ডিসেম্বরে ১৩৫ কোটি, জানুয়ারিতে ১৩০ কোটি ৫ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৩ কোটি ৬২ লাখ, মার্চে ১৪৩ কোটি ২১ লাখ, এপ্রিলে ৯৪ কোটি ৬৫ লাখ, মে মাসে ৩৫ কোটি ১০ লাখ এবং জুনে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা গেল ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।
রাজস্ব কর্মকর্তা আকবার আলী জানান, উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকা কম।
এ ব্যাপারে ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেড়েছে। তার পরও ব্যবসায়ীরা যদি চাহিদামাফিক পণ্য আমদানি করতে পারে, তাহলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এখানে পণ্য আমদানিতে রয়েছে বৈষম্য। পূর্ণাঙ্গ বন্দর হওয়ার পরও ব্যবসায়ীদের সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে দেয়া হয় না।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমস বিভাগীয় সহকারী কমিশনার ?আমীর মামুন জানান, রাজস্ব আয় কম-বেশি হয়ে থাকে মূলত বন্দরের মালপত্র আমদানির ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়লে রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের কেবল প্রথম মাস অতিবাহিত হয়েছে। সামনের অন্যান্য মাসে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়