খুব ভোরে আজ উঠল পাখি ডেকে
বলল আমায় দাও না ছবি এঁকে।
কার সে ছবি আঁকব আমি বলো-
আঁকব নাকি ফুল, পাখি আর ফলও?
এসব শুনে বলল আকাশ হেসে
ওসব এঁকে আঁকবে আমায় শেষে।
আমার বুকে সূর্যিটা রোজ ওঠে-
চতুর্দিকে মিষ্টি আলো ফোটে।
রাত হলে ঠিক উঠবে চাঁদ ও তারা
আঁকতে পারো মেঘের জলধারা।
এদিক থেকে বলল গাছের পাতা
নাও পেনসিল নাও না আঁকার খাতা।
আঁকবে তুমি গাছগাছালি, শাখা-
দেখব ঠিকই আঁকতে ক্যামন পাকা।
বলল আবার ওদিক থেকে সোমা
এসব তুমি আঁকবে কেন? ওমা!
আঁকবে কী কী মন দিয়ে এই শোনো-
বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ আর কোণও।
আঁকলে ওসব আঁকতে পারো আজই
পালতোলা নাও বৈঠাসহ মাঝি।
হঠাৎ করে বলল বৃষ্টি ফোঁটা…
আঁকবে আমায় আঁকবে কলস, লোটা।
পড়ছি আমি যাচ্ছে কলস ভরে
এসব আঁকো আঁকবে সেসব পরে।
হাত বাড়িয়ে যেই নেব রংতুলি-
বলল শুনো, মিষ্টি পিঠাপুলি।
আজকে তুমি আঁকতে গেলে ভুলে
যাবোই যাবো তোমার প্রতিকূলে।
তাই বলি কি- আমায় আঁকো আগে
নানান রঙে নানান ভাগে ভাগে।
শুনতে শুনতে রেগেই বলি, ধুর-
আজকে আমি আঁকব মুজিবুর!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।