নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল সোমবার বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ খাতে ভর দিয়ে বড় উত্থান হয়েছে সব সূচকের। ফলে আরো উচ্চতায় উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকসহ বাকি দুটি সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে বাজার মূলধন। লেনদেনও ইতিহাস সৃষ্টির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। প্রায় ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।
গতকাল ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ডসহ অন্য খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। এতে লেনদেনের ৩৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৩ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এরপরই চমক শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলো। পতনের ধকল কাটিয়ে এই খাতগুলোর কোম্পানির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত হয় প্রকৌশল খাত।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে চারটির। বস্ত্র খাতের ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে তিনটির দাম কমেছে। ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির এবং দাম কমেছে আটটির। আর প্রকৌশল খাতের ৩৩টির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে আটটির।
খাদ্য, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল এবং ওষুধ খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৭৩টির দাম কমেছে এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬২৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথমবারের মতো ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের মাইলফলক পেরিয়ে গেল।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকেরও। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এযাবৎকালের মধ্যে এটি ডিএসই-৩০ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান।
এদিকে সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এর আগে কখনো ডিএসইর বাজার মূলধন এমন উচ্চতায় ওঠেনি। একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টির মধ্যে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়।
বড় অঙ্কের এই লেনদেনের দিনে টাকার পরিমাণে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল পলিমার, জিপিএইচ ইস্পাত, এসএস স্টিল, জিনেক্স ইনফোসিস, মালিক স্পিনিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং ফু-ওয়াং সিরামিক।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০১ পয়েন্ট।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৪টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়