শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : চলতি সপ্তাহেই শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায়

আগের সংবাদ

উৎসবের গণটিকায় বিশৃঙ্খলা

পরের সংবাদ

মডেল খামার সিকদার ডেইরি : কলাপাড়া

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** সরকারি-বেসরকারি সহায়তা দাবি **
এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরে ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এস এম মুর্তল্লা সৌরভ দেশীয় ৫টি গরু নিয়ে স্বল্প মূলধনে ২০১০ সালে ব্যবসা শুরু করে গড়ে তোলেন সিকদার ডেইরি দুগ্ধ খামার। নিজের পরিশ্রম ও সততা দিয়ে পরিণত করেন আধুনিক মোটাতাজা ও দুগ্ধ খামার। বর্তমানে তার খামারে ন্যারা মুণ্ডি (পাঞ্জাব), হোলস্ট্যান ফ্রিজিয়ান (অস্ট্রেলিয়ান) ও শঙ্কর জাতসহ (ভারত) দেশি-বিদেশি ১৮টি গরু রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে এই খামারটি তৈরি করেছেন। সরকারি সহায়তা বা স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এ খামারটিকে কলাপাড়ার একটি মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সিকদার ডেইরি দুগ্ধ খামার ২০১০ সালের প্রথম দিকে ব্যবসা শুরু করেন। দেশি ৫টি গরু দিয়ে ডেইরি খামার ব্যবসার খাতায় নাম লেখান। বর্তমানে তার ফার্মের ব্যবসায়ের মূলধন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যদিও এর সিংহভাগই বিভিন্ন এনজিও সংগঠন থেকে লোন করা।
করোনার কারণে খামারের ১৮টি গরুর মধ্যে ঈদুল আজহার সময় দুটি গরু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পায়নি। এখন তার খামারে ন্যারা মুণ্ডি দুটি, হোলস্ট্যান ফ্রিজিয়ান (অস্ট্রেলিয়ান) দুটি, শঙ্কর জাত (ভারত) দুটি ও দেশি বিভিন্ন জাতের ১০টি গরুসহ মোট ১৬টি গরু রয়েছে। দুগ্ধ খামারে প্রতি মাসে দুজন কর্মচারী ও গরুর খাবারসহ মোট ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন খামার থেকে ৬০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে তার প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ করে মাস শেষে ভালো লভ্যাংশ থাকে।
তবে করোনার কারণে দুধের দাম কম থাকায় বর্তমানে লাভ পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দুগ্ধ খামারের গরুকে খইল, ভুট্টা ভাঙ্গা ও নিজ খেতে উৎপাদিত জার্মানি ঘাস খাওয়ান হয়। পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে সেই অভিজ্ঞতা থেকে গত ১০ বছর ধরে সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল হয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিকদার ডেইরি দুগ্ধ খামারের মালিক ও কলাপাড়া উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম মুর্তল্লা সৌরভ সিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী খামারিদের জন্য প্রণোদনা দিলেও এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পেয়েছি মাত্র ১৫ হাজার টাকা। আমি চাই উপজেলার বেকার যুবকরা দুগ্ধ খামার শুরু করুক। সরকারি সহায়তা বা স্বল্প সুদের ঋণ পেলে আমার খামারকে উপজেলায় আধুনিক মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে পারি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা পশু ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান ভোরের কাগজকে জানান, একধিকবার সিকদার ডেইরি দুগ্ধ খামার পরিদর্শন করেছি। কলাপাড়া পৌরশহরে অনেক বেকার যুবক খামার করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পাঁচ বছরের জন্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে সরকার, যার মাধ্যামে দুগ্ধ উৎপাদন ও চিকিংসাসেবা দিয়ে থাকি। সরকারি সহায়তা বা লোনের জন্য তফসিলভুক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে আমার কাছে আসলে আমি যথাসম্ভব সহায়তা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়