চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ২৮ জুলাই ভোরের কাগজে প্রকাশিত ‘জি কে শামীম সিন্ডিকেটের হাতে এখনো জিম্মি গণপূর্ত’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ।
প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন, দুর্নীতির এসব অভিযোগ ডাহা মিথ্যা এবং হাস্যকর। তিনি বলেন, গণপূর্তে কী মাত্র একজনই প্রকৌশলী আছে, যার মাধ্যমে প্রতিটি প্রকল্পই প্রক্রিয়া হবে! একটি কাজে ঠিকাদারের লাভ ১০ শতাংশ ধরে প্রাক্কলন করা হয়, আর শুধু একজনকেই যদি ১৫ শতাংশ দিতে হয়, তাহলে নি¤œ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে এনে ঠিকাদার কীভাবে কাজ শেষ করবে, আর কীভাবে প্রত্যাশী কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প বুঝিয়ে দেবে! তিনি আরো বলেন, আমি অযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য হলে কর্তৃপক্ষ আমাকে যেখানে বদলি/ পদায়ন/ ব্যবস্থা করবে, সেখানে চলে যাব বা মেনে নেব।
প্রতিবাদে বলা হয়, আমার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আদর্শে বিশ্বাসী। মরহুম বাবা সরকারের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। আমার বাবা-চাচারা ৭ ভাই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বিনিময়ে সনদের জন্য আবেদন করেননি। আমার বড় ভগ্নিপতি একজন সনদধারী ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং বর্তমানে সরকারি থেকে অবসরপ্রাপ্ত। কাজেই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন কর্মকর্তা হিসেবে জাতীয় শোক দিবস পালনে বাধা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না; উপরন্তু, বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননার বিষয়টিও সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, ব্যাচের গ্রেডেশনে আমার মেধাক্রম তিন। চাকরিকালীন আমার সততা, মেদা, দক্ষতা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও ব্যাপক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আমি অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার বিবেচনায় ছিলাম। বিধায় আমার বিরুদ্ধে এসব মনগড়া, অলীক কল্পকাহিনী আমার কতিপয় সহকর্মী ঠিকানাবিহীন কথিত ঠিকাদার দিয়ে এসব ডাহা মিথ্যা ও ভুয়া কাহিনী অভিযোগ আকারে কিছু প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে আমি বার্ষিক কর্মসম্পাদনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সেরা কর্মকর্তার পুরস্কার পেয়ে গত ২১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট ও সনদ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, দুদক সত্যিই সৎ কর্মকর্তাদের ভরসাস্থল। যাচাইবাছাই শেষে আল্লাহর রহমতে সত্যের জয় হয়েছে। তাছাড়া প্রকাশিত খবর মোতাবেক চলতি বছর আমাকে কোনো দপ্তর তলব করেনি।
মো. কাওসার আলম : আমি জানতে পেরেছি কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা প্রকৌশলী আমার ভুয়া ঠিকানা ও সঠিক ফোন নাম্বার ব্যবহার করে, আমার নাম ব্যবহার করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় দিয়েছে ও দিচ্ছে। আমার কাছ থেকে কোনোরূপ যাচাইবাছাই ছাড়াই এরূপ একটি অসত্য বক্তব্য উল্লেখিত খবরে পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এরূপ খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়