জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

বিআইএফসির আর্থিক কেলেঙ্কারি : সাবেক এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের আরো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) অর্থ আত্মসাতের ঘটনা শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ মালিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানিতে (বিআইএফসি) কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও আর্থিক খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজন্য আজ মঙ্গলবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটি। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।
সূত্র আরো জানিয়েছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় মাহমুদ মালিকের স্ত্রী ও বিআইএফসির সাবেক পরিচালক হাফসা আলমকেও ডেকেছে তদন্ত কমিটি। যিনি সুকুজা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে হাফসা আলম এরই মধ্যে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মাহমুদ মালিক বিআইএফসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরই তিনি ইডকল নামের রাষ্ট্রায়ত্ত আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। গত ৩১ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক তার মেয়াদ আর বাড়ায়নি।
সূত্র জানায়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসিতে সংঘটিত আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশনা দেন আদালত। এরপরই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় জড়িতদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির নাম দেয়া হয় ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’। কমিটির প্রধান করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-৩ এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। সদস্যসচিব হিসেবে ছিলেন উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন।
তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা চিহ্নিত করতে পেরেছে। এর আগে পিপলস লিজিংয়ের কয়েকটি বিষয় চিহ্নত করে মামলাও হয়েছে। বাকি অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। এরই মধ্যে বিআইএফসিতে সংঘটিত আর্থিক অনিয়মের অনেক ঘটনাই চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, তদন্তের জন্য এর আগেও মাহমুদ মালিক ও তার স্ত্রী হাফসা আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আবার তাদের ডাকা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম চিহ্নিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুর্নীতির সঙ্গে আলোচিত-সমালোচিত পি কে হালদারের নাম বেরিয়ে আসে সর্বপ্রথম। একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক অর্থ নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন তিনি। এ দুর্নীতিতে মাহমুদ মালিকেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা বেশ নাজুক। এর মধ্যে বিআইএফসি অন্যতম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়