জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

দুই ভাই ও ভাতিজা গ্রেপ্তার : বাড়িতে মাটি ফেলা নিয়ে দ্ব›েদ্ব খুন হন ইমাম

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সড়াইলের ধামাউড়া গ্রামে ঈদুল আজহার আগের দিন আব্দুর রহিম নামে মসজিদের এক ইমাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নিহতের ভাই মো. সহেদ মিয়া (৫০), আব্দুল্লাহ (৪০) ও ভাতিজা মো. জুনাইদ মিয়া (২০)। গত রবিবার রাজধানীর খিলগাঁও ও তেজগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
সিআইডি বলছে, ঘরের ভিটায় মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে ইমামের সঙ্গে তার ভাইদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার দুই ভাই, এক ভাইয়ের স্ত্রী ও এক ভাতিজা তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর বলেন, ভিকটিম আব্দুর রহিম সড়াইল থানার ধামাউড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি পাশের থানা নাসিরনগরের ফেদিয়ারকান্দি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
গত ঈদুল আজহার আগের দিন দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও এক ভাতিজা তাকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত ২০ জুলাই ইমামের দুই ভাই পরিবারসহ ঢাকা থেকে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে দেখে, ইমাম তার বসতঘরের ভিটার মাটি ঠিকঠাক করার কাজ করছেন। মাটি ফেলানো ও ঠিকঠাক করাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এই কথা কাটাকাটি মুহূর্তের মধ্যে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরে দুপুর ১২টায় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মো. সহেদ মিয়া, আব্দুল্লাহ, মো. জুনাইদ ও আব্দুল্লাহর স্ত্রী রতœা বেগম বল্লম ও লাঠি দিয়ে জখম করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় সড়াইল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামিদের সম্ভাব্য লুকানোর সব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. সহেদ মিয়া, তার ছেলে ৩ নম্বর আসামি মো. জুনাইদ মিয়াকে তেজগাঁও এবং ২ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহকে খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুক্তা ধর বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামিরা ঢাকায় এসে আত্মগোপন করে। পরে মামলার বাদী ভিকটিমের ছেলেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। পলাতক রতœা বেগমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়